মহাকুম্ভে নদীর জল অনেক জায়গায় স্নানের যোগ্য নয়, বলছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ
প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের জলে স্নান করেছেন কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু এই জল স্নানের অযোগ্য বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
কী বলছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ
কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড(সিপিসিবি) ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালে পেশ করা রিপোর্টে জানায়, প্রয়াগরাজে বিভিন্ন জায়গায় জানুয়ারির ১২-১৩ তারিখে নদীর জল পরীক্ষা করা হয়েছে। বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিম্যান্ড (বিওডি)-এর নিরিখে জল স্নানের উপযুক্ত নয়। বিভিন্ন সময়ে নদীর জল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অনেক জায়গায় ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা অনেক বেশি। ওই জল স্নানের উপযুক্ত নয়।
রিপোর্টে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শাহি স্নানের দিন বহু লাখ মানুষ কুম্ভে স্নান করেছেন। ফলে ওই দিনগুলিতে জলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমোদিত সীমা বলছে, প্রতি ১০০ মিলিলিটার জলে সর্বাধিক ২৫০০ ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। তার থেকে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা ক্ষতিকর। প্রয়াগরাজের জলে কী পরিমাণ ফিকাল কলিফর্ম পাওয়া গিয়েছে, তা জানানো হয়নি। শুধু অনেক জায়গায় স্নানের অনুপযুক্ত জলের কথা বলা হয়েছে।
'রিপোর্ট দেয়নি রাজ্যের দূষণ পর্ষদ'
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল(এনজি়টি)-এর চেয়ারম্যান বিচাররপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, এর আগে তারা উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে সামগ্রিকভাবে একটি অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তারা তা দেয়নি। শুধু একটা কভার লেটারে কয়েকটি জল পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়েছে মাত্র।
রাজ্য়ের রিপোর্টে কী বলছে?
এনজিটি বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য দূষণ পর্যদ ২৮ জানু.য়ারি যে কভারিং লেটার পাঠিয়েছে, সেখানে উত্তর প্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের কেন্দ্রীয় ল্য়াবরেটারির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রিপোর্ট আছে। সেখানেও বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ হারে ফিকাল ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।
এনজিটির নির্দেশ
এনজিটির নির্দেশ, উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রধানকে সিপিসিবি-র রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বুধবার তাদের মতামত জানাতে হবে।