মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ আগুনে অসংখ্য দোকান পুড়ে ছাই
হাওড়ার মঙ্গলাহাট। মূলত পোশাকের বাজার। সেখানেই গভীর রাতে আগুন লাগে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় অসংখ্য দোকান।
গভীর রাতে আগুন
বৃহস্পতিবার রাত বারোটার পর নাগাদ হাওড়ার মঙ্গলাহাটে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দমকলে খবর দেয়া হয়। খুব তাড়াতাড়ি আগুন ছড়ায়।
পাঁচ হাজার বর্গফুট এলাকায়
বিশাল এলাকা-জুড়ে আগুন ছড়ায়। এখানে অনেক দোকানই কাঠ, টিন, বাঁশ দিয়ে তৈরি ছিল। ফলে আগুন তাদের গ্রাস করে নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি।
মূলত পোশাকের হাট
মঙ্গলাহাট ছিল মূলত পোশাকের হাট। সস্তায় পোশাক পাওয়ার জন্য এই হাটের খ্যাতি ছিল। ফলে প্রচুর মানুষ সেখানে প্রতিদিন ভিড় করতেন। আর দোকানগুলি ছোট হলেও প্রচুর জিনিসপত্রে ঠাসা থাকতো।
দমকলের লড়াই
আগুন লাগার পর ১৪টি দমকল সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। পাশেই গঙ্গা থাকায় দমকলের জলের কোনো সমস্যা হয়নি। গভীর রাত বলে সরু গলি দিয়েও দমকলকর্মীরা ভিতরে ঢুকে যান।
মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
আগুনে ছাই হয়ে যাওয়া দোকান দেখে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। পুজো আসছে বলে তারা আরো বেশি করে জিনিস দোকানে রেখেছিলেন। সবই পুড়ে গেছে।
শুধু পোড়া টিন
মঙ্গলাহাটে শুধু পড়ে আছে পোড়া টিন। কিছু পোশাকের পোড়া বাক্স। দোকানের চিহ্ন নেই।
আগুন থেকে বাঁচতে
কলকাতা-হাওড়ার অধিকাংশ বাজারেই আগুন নেভানোর ভালো ব্যবস্থা নেই। কোনো বড় আগুন লাগলে হইচই হয়। তারপর যে কে সেই। আগুন নেভানোর যন্ত্র পড়ে থেকে থেকে বিকল হয়ে যায়। আর মঙ্গলাহাট ছিল খুবই ঘিঞ্জি হাট। ফলে সেখানে একবার আগুন লাগলে তা ভয়াবহ আকার নিতে বাধ্য। বাস্তবে হয়েছেও তাই।
কেন এই আগুন?
আগুন কেন লেগেছে, তা পুলিশ এখনো জানাতে পারেনি। হাওড়ার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের পরেই কারণ জানা যাবে বলে তারা জানিয়েছে।
ক্ষতি কত?
ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে দোকানদাররা যা বলেছেন, তাতে মনে হয়েছে, বহু কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চারটি দোকান ছাই মিঠুর
মঙ্গলাহাটে চারটি দোকান ছিল মিঠু কুন্ডুর। চারটিই পুড়ে ছাই। ডয়চে ভেলেকে মিঠু জানিয়েছেন, প্রায় ২০ লাখ টাকার পোশাক ছিল সেখানে। সব তৈরি পোশাক। একটাও বাঁচেনি। কী হবে তা এখন ভাবতে পারছেন না মিঠু।
বেঁচে গেছেন আব্দুল রহিম
জামার দোকান আছে শেখ আব্দুল রহিমের। আগুনের খবর পেয়ে ভোর চারটের সময় এসেছেন। গিয়ে দেখেন, তাঁর দোকানের ক্ষতি বেশি হয়নি। বন্ধুদের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।