ভয়াবহ বন্যার কবলে ভারত, পাকিস্তান
১৮ আগস্ট ২০২৫চলতি বছরের জুন মাস থেকে পাকিস্তানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বর্ষা হচ্ছে, যার ফলে সারা দেশে অন্তত ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে ৪০০ জনই মারা গেছেন দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে।
সেখানকার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৫০জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৭জনে। উদ্ধারকাজ চলছে দূরবর্তী এলাকায়, যেখানে অনেক মানুষ বন্যার জলে ভেসে গেছেন। সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছে বলে জানা গেছে৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যা ও ভূমিধসের আগে কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। মসজিদের লাউডস্পিকারে প্রচলিত সতর্কতা প্রচারও হয়নি। তবে সরকার দাবি করেছে, পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা থাকলেও অতিবৃষ্টির তীব্রতা এত বেশি ছিল যে সময় মতো সবাইকে জানানো সম্ভব হয়নি।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আরও বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে, যেখানে রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
ভারতেও বন্যা
ভারতের কাশ্মীরেও পড়েছে এই আকস্মিক বন্যার প্রভাব৷ সেখানে নিখোঁজ অন্তত ৬৭জন৷
অন্যদিকে, ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর মুম্বাইয়ে ভারী বর্ষণের ফলে স্তব্ধ শহর নাগরিক জীবন৷ ইতিমধ্যে, বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি রাস্তাঘাটে বন্যা দেখা দিয়েছে, বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুলও৷
অন্তত ৯টি বিমান মুম্বাই বিমানবন্দরে অবতরণ না করতে পেরে ঘুরে চলে যায় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি৷
সোমবার সকালে মুম্বাইয়ের কোনো কোনো অংশে পানির মাত্রা পাঁচ ইঞ্চি (১৪০ মিলিমিটার) ছাড়িয়ে যায়, জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা৷ সোমবার ও মঙ্গলবার ধরে টানা বৃষ্টি হবার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে মুম্বাই আবহাওয়া দপ্তর৷
মুম্বাইয়ের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির তোড়ে একটি দ্বিতল ভবন ভেঙে পড়ে যায় ও তিনজন আহত হন৷
এসএস/এসিবি (এপি, রয়টার্স)