ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, নেই প্রস্তুতি
২৯ মার্চ ২০২৫বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। কোন ধরনের প্রস্তুতি নেই।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বাংলাদেশেও মিয়ানমারের মতো একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
নগর পরিকল্পনাবিদ ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী সভাপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বাংলাদেশে যে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে সেটা বোঝা যাবে গত কয়েক বছর ছোট ও মাঝারি মানের ভূমিকম্প বহুবার হয়েছে। এটা বড় ভূমিকম্পের আলামত। ভূমিকম্পের যে রিটার্ন পিরিয়ড একশ' বা দেড়শ' বছর, আমরা কিন্তু তার কাছাকাছি আছি। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেক বেশি। ঢাকায় ঝুঁকি কিন্তু অনেক বেশি। এখানে ভবনগুলোর মান অত্যন্ত দুর্বল।
নিম্নবিত্তরা এক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিতে বসবাস করছেন বলেও জানান তিনি। ড. আদিল বলেন, "ধনাঢ্য লোকজন যেসব ভবনে থাকেন সেগুলো হয়ত কিছুটা ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোতে ঝুঁকি কম। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ যেসব ভবনে থাকেন সেগুলোতে ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ অনেক ভবন জলাশয় বন্ধ করে তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনগুলো এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। আর কোন কারণে ভূমিকম্প হিট করলে রাস্তাগুলো এত ছোট যে সেখানে উদ্ধারকারী যানবাহনগুলোই যেতে পারবে না। ফলে আমাদের ঝুঁকি অনেক বেশি।”
শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারে সাত দশমিক সাত মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাগাইংয়ে ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূকম্পটির এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, মিয়ানমারে সাত দশমিক সাত এবং ছয় দশমিক চার মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। মারাত্মক এই ভূকম্পনের রেশ মিয়ানমারের দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশেও পৌঁছেছিল। বাংলাদেশে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, থাইল্যান্ডে বেশ তাণ্ডব দেখা গেছে। ঝড়েছে বেশ কয়েকজনের প্রাণও। ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে আছে শত শত মানুষ।
উচ্চ ঝুঁকির কথা বলছে ফায়ার সার্ভিসও
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিভেন্স অধিদপ্তর বাংলাদেশেও মিয়ানমারের মতো একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভূমিকম্প মোকাবেলায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০২০ অনুযায়ি ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করতে হবে, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করতে হবে। ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখতে হবে। ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা। জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়। সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বাংলাদেশ তো অত্যান্ত জনবহুল এলাকা। এখানবার রাস্তাঘাটগুলো খুবই সরু। আমরা যদি থাইল্যান্ড বা মিয়ানমারের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে এমন একটি ভূমিকম্প বাংলাদেশে হলে তার ক্ষয়ক্ষতি হবে ব্যাপক।"
তিনি বলেন, "ভূমিকম্পের দুই ধরনের প্রস্তুতি আছে। একটা হলো, আমাদের জরুরি মুহুর্তে রেসপন্স করার ক্ষেত্রে কতটুকু প্রস্তুত আছি এবং আরেকটা হলো, আমাদের স্থাপনাগুলোকে দুর্যোগ সহনশীল করতে হবে। আর আমাদের প্রস্তুতিরও ঘাটতি আছে। এই কারণে যে, আমরা কিন্তু এই ধরনের দুর্যোগ এখনও মোকাবেলা করিনি। ফলে এটা নিয়ে আমাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই। আমরা কিন্তু এগুলো থেকে শিক্ষা নিচ্ছি না। কোন একটা ঘটনা ঘটলে আমরা নড়েচড়ে বসি, কয়েকদিন পর সবাই ভুলে যান। আমাদের এখানে রাস্তাগুলো এত সরু যে, একটা অ্যাম্বুলেন্সও যেতে পারে না, সেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাবে কিভাবে? এক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক কমিটমেন্টও দুর্বল। একটা টাস্কফোর্স করা খুবই জরুরি কাজগুলোর সমন্বয়ের জন্য। সেটাও হয়নি। এসবক্ষেত্রে সব পক্ষের গাফিলতি আমরা দেখি।”
বাংলাদেশেও আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে?
ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, এই ভূমিকম্প যদি বাংলাদেশ মুখী প্লেটে ঘটতো তাহলে এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হতো যা অকল্পনীয়। বাংলাদেশসহ ভারত ও মিয়ানমারের কিছু অংশজুড়ে সুবিশাল চ্যুতি বা ফল্ট থাকায় একটি দেশে ভূমিকম্প হলে তার পার্মবর্তী দেশে যেকোনো মুহূর্তে বড় ভূমিকম্প হতে পারে এমন শংকা থেকে যায়। অভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশে এই ভূমিকম্প প্রমান করলো বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্প ঝুঁকিতে। ভূ-কাঁপুনির তেমন কোনো পূর্বাভাসের ব্যবস্থা না থাকায় মানুষ রয়েছেন শঙ্কা-উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তায়।
ভূতত্ত্ববিদ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছেন, "সিলেট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আট মাত্রার বেশি ভূমিকম্প সৃষ্টি হওয়া মতো শক্তি জমা হয়ে আছে। যেকোনো সময় সে শক্তি বের হয়ে আসতে পারে। এই শক্তি একবারে বের হতে পারে, আবার ধাপে ধাপেও বের হতে পারে। এতে সিলেট ও চট্টগ্রাম ছাড়াও সব থেকে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে রাজধানী।”
বিগত কয়েকশ বছরের ইতিহাসে এ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট পর্যন্ত বিগত ৪০০ থেকে হাজার বছরে কোন বড় ধরনের ভূমিকম্প না ঘটায় এসব স্থানে শক্তি জমা হয়ে আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। এসব ভূমিকম্পের মধ্যে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্পও রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এসব ভূমিকম্পে বড় মাত্রার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতখানি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পে যদি রাজধানীর এক শতাংশ বিল্ডিং ধ্বংসে পড়ে তাহলে তিন লাখ মানুষ হতাহত হবেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থেকে আরও অনেকের মৃত্যু হবে।এ অবস্থায় ভূমিকম্প সহনীয় নিরাপদ অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি নিয়মিত মহড়া ও সচেতনতা বাড়াতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা কিন্তু বহু বছর ধরে বলে আসছি, প্রস্তুতি নিতে হবে। নতুন ভবনগুলো কোড মেনে বানাতে হবে। আর পুরাতনগুলো সার্ভে করে যেগুলো একেবারেই দুর্বল সেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। আর যেগুলোর স্টেনথ বাড়ানো সম্ভব সেটা করতে হবে। আমাদের আরও বেশি প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের এখানে যদি থাইল্যান্ড বা মিয়ানমারের মতো ওই মাত্রায় ভূমিকম্প হয় তাহলে অবস্থা হবে ভয়াবহ। কারণ এখানে এত ঘতবসতি যা আর কোথাও নেই। ওদের ওখানে তো লোকসংখ্যা কম। বিল্ডিংও এত ঘন ঘন না।
তবে কিছুটা আশার কথা, মিয়ানমান বা নেপালের মতো অত বেশি ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকি আমাদের নেই। ওদের ওখানে সর্বশেষ ১৯৪৬ সালে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। ফলে ৮০ বছরের মধ্যে সেখানে আবারও বড় ভূমিকম্প হয়ে গেলে। আমাদের এখানে কিন্তু সর্বশেষ ১৯১৮ সালে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। একশ' বছরের বেশি হয়ে গেছে। এখানে দেড়শ' বা ২০০ বছর পরপর ওই ধরনের ভূমিকম্প হয়। তারপরও আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। এ বিষয়ে গাফিলতির কোন সুযোগ নেই।”
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যদি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে সারা দেশে ৬ কোটি ১২ লাখ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বে। ১১ লাখ ৯ হাজার পাকা ভবন, ২১ লাখ ১৪ হাজার সেমিপাকা স্থাপনা, ৪০২টি খাদ্যগুদাম, ১৪টি গ্যাস ফিল্ড, ১৯৫টি হাসপাতাল। ১ হাজার আটটি কল্যাণকেন্দ্র, ২ হাজার ৮০০ উচ্চবিদ্যালয়, ১ হাজার ৯০০ মাদ্রাসা, ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ হাজার ৮০০ পুলিশ স্টেশন, ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার স্থানীয় সড়ক, ২০ হাজার ব্রিজ, ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাব রয়েছে তাও স্বীকার করা হয়েছে।
২০২৪ সালে দেশে ও আশেপাশে ৫৩টি ভূমিকম্প হয়েছে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এবং কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয়। ২০২৩ সালে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১টি এবং গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে দেশে ও আশেপাশে ৫৩টি ভূমিকম্প হয়েছে। এটি ছিল আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৯০ দিনে বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারে মৃদু ও বিভিন্ন মাত্রার ৬০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটো ছোটো ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস। ঐতিহাসিক ভূমিকম্পের পরম্পরা বিশ্লেষণ এবং দিন দিন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই এমনটা মনে করছেন তারা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, "ছোট ও মাঝারি ভূকম্পনে বড় শক্তি বের হওয়ার একটা প্রবণতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তার মানে, যে কোনো সময় একটি বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। ৭ মাত্রার ভূমিকম্পগুলো ফেরত আসার একটি সময় হয়ে গেছে। তবে বড় ভূমিকম্প কবে হবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।”
গত বছর হওয়া ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট: রাজউক অংশ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকার ৪০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। দুর্যোগ সূচক অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশের আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে।