ভারোত্তোলনে তিনটি বিশ্বরেকর্ড করা কোয়েল বরের প্রেরণা মাংসবিক্রেতা বাবা
তিনটে বিশ্বরেকর্ড গড়ে খবরের শিরোনামে হাওড়ার কোয়েল। মাংস বিক্রেতা বাবাই অনুপ্রেরণা তার। কোয়েলের কাহিনি ছবিঘরে।
রেকর্ডের বন্যা
আহমেদাবাদে ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি বিশ্বরেকর্ড করে শিরোনামে ১৭ বছরের কোয়েল বর। নারীদের ৫৩ কেজি প্রতিযোগিতায় মোট ১৯২ কেজি ওজন তুলে যুব ভারোত্তোলনে নজির গড়েন কোয়েল। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ১০৭ কেজি ওজন তুলে রেকর্ড গড়েন। এছাড়া স্ন্যাচে ৮৫ কেজি ওজন তুলে আরেকটি রেকর্ড গড়েন তিনি।
সোনার টুকরো
বিশ্বরেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ইয়ুথ এবং জুনিয়র বিভাগে সোনা জেতেন কোয়েল। পদক জেতার পর কোয়েল জানিয়েছেন, বিশ্বরেকর্ড গড়াই ছিল প্রধান লক্ষ্য।
মাংস বিক্রেতা বাবাই অনুপ্রেরণা
কোয়েল হাওড়ার সাঁকরাইলের মেয়ে। ছোট বাড়ি, অল্প আসবাব এবং মেয়ের জেতা অনেক পদকে সজ্জিত তার বাড়ি । বাবা, মিঠুন বর, মাংস বিক্রেতা। স্পোর্টস্টারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কোয়েল বলেছেন, তার বাবাকে দেখেই ভারোত্তোলনে আগ্রহ জাগে তার। তিনি বলেন, তার বাবা নিয়মিত জিমে যেতেন। সেখান থেকেই তার যাত্রা শুরু।
'উন্নতি করুক মেয়ে'
মেয়ের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি বাবা এবং মা। ডিডাব্লিউকে বলেন, "মেয়ে সোনা জিতেছে। এর থেকে আনন্দের আর কী হতে পারে? পাড়া, প্রতিবেশী সবাই আনন্দিত। আমরা চাই ও আরো এগিয়ে যাক। আরো উন্নতি করুক।"
'খেলাধুলায় বাধা নেই'
মা শ্রাবন্তী বর ডিডাব্লিউকে বলেন, "আমাদের তরফে কোনো বাধা নেই। ও খেলাধুলা করুক। আরও উন্নতি করুক। আমরা সব সময় ওর পাশে আছি।'
সাফল্য প্রশিক্ষকেরও
কোয়েলের প্রথম প্রশিক্ষক, অষ্টম দাস। হাওড়ারই বাসিন্দা। তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পদক জিতেছেন অচিন্ত্য শিউলিসহ অনেকেই। ছাত্রীর রেকর্ডে তিনি দারুণ খুশি। তবে আক্ষেপ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি। তিনি বলেন, "ছাত্র ছাত্রীরা পদক আনলে সবার আমার কথা মনে পরে। তারপর সবাই ভুলে যান। আমার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে আরেকটু উন্নত মানের করতে চেয়ে সাহায্য চেয়েছি। পাইনি।"
মিঠুনের সাহায্য
অষ্টমের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়মিত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন কোয়েলের বাবা, মিঠুন। প্রশিক্ষকের প্রতি অগাধ আস্থা তার।
সামনে মাধ্যমিক
খেলাধুলোর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পড়াশোনা চালাচ্ছে কোয়েল। সামনে মাধ্যমিক। শ্রাবন্তী জানান, "খেলাধুলোর সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনাও চালাতে হচ্ছে ওকে। সেটা তো বাদ দিলে চলবে না।"