ভারতীয় দলে তারুণ্যের সংযোজন চান সাবেক অধিনায়করা
৭ জানুয়ারি ২০১২ভারতীয় ক্রিকেট দলকে সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে টানা ছয়টি টেস্টে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে৷ এর মধ্যে গত বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে চারটিতে হারে ভারত৷ আর শুক্রবার সিডনিতে এক ইনিংস এবং ৬৮ রানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে চার ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০'তে পিছিয়ে৷ ভারতীয় দলে উল্লেখযোগ্য হারে রান তুলতে সক্ষম শচিন তেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, ভেঙ্কটসাই লক্ষন এবং বিরেন্দ্র শেহবাগের মতো তারকা ক্রিকেটাররা থাকা সত্ত্বেও শেষ দু'টি টেস্টেই ভঙ্গুর ব্যাটিং তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
ভারতের অব্যাহত পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করে ‘হিন্দুস্তান টাইমস' পত্রিকায় সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল লিখেছেন, ‘‘বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত অদূরদর্শী মনোনয়নের নীতির খেসারত দিচ্ছে৷ তারুণ্যের অভাবে ব্যাটিং লাইন-আপ খুব শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে এবং আশা করি, বিদেশের মাটিতে টানা ছয়টি হারের পর নীতি নির্ধারকরা তাঁদের ভুলের দিকে নজর দিবেন৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘ব্যাটিং দক্ষতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ভুল থেকে শেখা৷ কিন্তু শচিন তেন্ডুলকারসহ ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যান'রা বারবার একই ধরণের জালে ধরা পড়ছে৷''
তাই চ্যাপেলের মন্তব্য, ‘‘দলের এমন খারাপ অবস্থাতেই নীতি নির্ধারকদের উচিত দলে তরুণদের স্থান দিয়ে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসা৷'' অনেকটা একই সুরে কথা বললেন ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব৷ হিন্দুস্তান টাইমস'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘অবসরে যাওয়া বা না যাওয়া একজন খেলোয়াড়ের নিজস্ব বোধের ব্যাপার৷ কিন্তু যদি কেউ ভালো খেলতে না পারে এবং সে কারণে দল জিততে না পারে, সেক্ষেত্রে অতীতের উজ্জ্বল সাফল্য কারো অবস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে পারে না৷'' অপর সাবেক অধিনায়ক দিলিপ ভেঙসরকারের মন্তব্য, ‘‘দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তেন্ডুলকারের উপর বর্ধিতহারে দলের নির্ভরশীলতা দারিদ্র্যেরই লক্ষণ৷''
উল্লেখ্য, টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা দুই স্কোরার দ্রাবিড় এবং তেন্ডুলকার শীঘ্রই ৩৯ বছরে পা দেবে আর লক্ষনের বয়স এখন ৩৭ বছর৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক