জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘‘ভারত বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে না৷ এটই বড় সমস্যা৷ তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সব সময়ই মন্তব্য করে৷ এটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় বাধা৷ আর তারা যে বলছে বাংলাদেশে একটি নির্বাচত সরকার এলে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে – এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল৷ কারণ বাংলাদেশে এখন যে সরকার আছে তারা নির্বচিতের চেয়েও বড়৷ তারা সবার সম্মতি ও পছন্দের সরকার৷”
পরারাষ্ট্র উপদেষ্টা বা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অথবা একদম শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে যে বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক ভালো হয়ে যাবে এমন আশা করেন না কেউই৷ তারপর বৈঠক হওয়া ভালো, তাতে যদি অস্বস্তি কিছুটা কাটে৷ ‘‘আর আমার মনে হয় সম্পর্ক সাবলীল হতে পারে যদি প্রফেসর ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে কোনো বৈঠক হয়৷ আসলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা উপদেষ্টা, সচিব পর্যায়ে বৈঠকে এর কোনো সমাধান আসবে বলে আমার মনে হয়না৷ এই বৈঠকগুলো আসলে আনুষ্ঠানিকতা মাত্র'' বলেন এম হুমায়ূন কবির ৷
আর অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরীর মতে, ‘‘উপদেষ্টা বা প্রধান উপদেষ্টা বা প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক হলে সম্পর্কের বরফ গলতে পারে৷ স্বাভাবিক হওয়ার পথ তৈরি হতে পারে৷ তবে এর চেয়েও বড় বিষয় হলো ভারত যে চোখে বাংলাদেশকে দেখে, যেভাবে ট্রিট করে – এটা তাদের বদলাতে হবে৷ পরিবর্তনটা বুঝতে মেনে নিতে হবে৷ আন্তরিক হতে হবে৷ বাংলাদেশকে তারা ছোট চোখে দেখে৷ সেটা হলে তো হবে না৷''