ব্রিটেনে মৌন অ্যালবাম প্রকাশ করে এআই-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ব্রিটেনে কপিরাইট আইনে কিছু বদলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে৷ তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কেট বুশ ও ক্যাট স্টিভেনসসহ এক হাজারেরও বেশি শিল্পী একটি মৌন অ্যালবাম প্রকাশ করেন৷ প্রস্তাবিত বদলগুলির বাস্তবায়ন হলে এই শিল্পীদের সৃষ্টি থেকে এআই নকল করে নিজেই কিছু সৃষ্টি করতে পারবে৷
প্রকাশিত অ্যালবামটির নাম ‘ইস দিজ হোয়াট উই ওয়ান্ট?', অর্থাৎ ‘আমরা কি এমনটাই চাই?''
অ্যালবামে রয়েছে ফাঁকা স্টুডিও ও স্টেজের মুহূর্তের রেকর্ডিং, নেই কোনো ধ্বনি৷ আয়োজকদের মতে, এআই যেভাবে শিল্পীদের জীবিকায় আঘাত হানতে চলেছে, এটা তারই প্রতীক৷
সংগীতের জগতে এআই ব্যবহারের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়েই আলোচনা, সমালোচনা চলছে৷ প্রশ্ন উঠছে, মূল স্রষ্টাকে পারিশ্রমিক না দিয়ে তার সৃষ্টি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এআই নিজেই কাছাকাছি কোনো সংগীত বানিয়ে ফেলতে পারবে৷
ভবিষ্যতের সংগীত ও আশঙ্কা
কেট বুশের প্রশ্ন, ‘‘ভবিষ্যতের সংগীতে আমাদের কন্ঠগুলি কি হারিয়ে যাবে?'' মঙ্গলবার এই প্রশ্নেই একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি৷
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার আগেই বলেছেন, তিনি চান তার দেশ একটি ‘এআই সুপারপাওয়ার' হোক এবং তা বাস্তবায়িত করতে আইনি বাঁধন শিথিল করতে চান তিনি৷ বর্তমানে শিল্পীদের সুরক্ষা দিতে বেশ কিছু আইন কার্যকর রয়েছে, যাতে চাইলেই যে কেউ যে কারো সৃষ্টি থেকে নকল করতে বা তা ব্যবহার করতে পারে না৷
কিন্তু স্টারমারের প্রস্তাবিত বদল অনুযায়ী, তখন এআই বিভিন্ন শিল্পীর নানা সৃষ্টিকে শুনে, পড়ে তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন সৃষ্টি করতে পারবে বা তা অবিকল অনুকরণও করতে পারবে৷ এতে করে শিল্পীরা নিজের সৃষ্টির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবেন - এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই৷
এই অ্যালবামের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সরকারের পক্ষে এক মুখপাত্র বলেন, বর্তমান কপিরাইট আইন ও এআই কাঠামো সৃজনশীল শিল্পখাত, গণমাধ্যম ও এআই খাতকে তাদের সর্বোচ্চ প্রতিভার বিকশকে ব্যাহত করে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি৷ কিন্তু এই খাতে জড়িতেদের সাথে নিবিড়ভাবে আলোচনা করছি৷''
সরকারকে তাদের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যানি লেনক্স, বিলি ওশেন, হান্স জিমার, টোরি আমোস ও দ্য ক্ল্যাশের মতো শিল্পীরা৷
এসএস/এসিবি (রয়টার্স)