‘ব্যক্তির চাইতে সরকার কী চায় তার উপর নির্ভর করে অনেক কিছু’
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪‘‘দেশে সুরাজনীতি থাকলে, দেশের উচ্চআদালত, নিম্নআদালত, নির্বাচন কমিশন সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকই ভালো চলবে'' বলেও মনে করেন এই সাবেক জজ৷
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে ‘বিচার বিভাগে আস্থা' বিষয়ে আলোচনা করতে অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক জেলা জজ ড. শাহজাহান সাজু ও এবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়৷
বিচার বিভাগের উপর মানুষের আস্থা কতটুকু আছে এই প্রশ্নের উত্তরে সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ‘‘গত ১৫ বছরে আমাদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে৷ বিচার বিভাগের প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷''
তবে শাহজাহান সাজু বলেন, ‘‘দেশের রাজনীতি ঠিক না হলে বিচার বিভাগ ঠিক হবে না৷''
বিভিন্ন মামলার রায়কে ঘিরে পাবলিক পারসেপশনের বিষয়ে সাবেক এই জজ বলেন, ‘‘জনগণের প্রত্যাশার সাথে অনেক সময় মামলার ফলাফল মিলে না৷ কিন্তু আদালততো আইন অনুযায়ীই কাজ করে৷ আইনের বাইরে যায় না৷''
বিচার বিভাগ আইন মন্ত্রণালয়য়ের কাছে কুক্ষিগত থেকে যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সুভাষ চন্দ্র বলেন, ‘‘দেশ এগিয়ে যাবে, দেশের বিচার ব্যবস্থাও এগিয়ে যাবে৷''
ভারত, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা এক কিছু অংশে বেশিও রয়েছে তবে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যাপারে ব্যবধান অনেক৷ সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমারা অনেক কথা বলেছে৷ পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে তো তারা কিছু বলছে না৷ তাদের মাথা ব্যাথা নেই৷ এর মানে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি৷''
সাবেক জজ শাহজাহান সাজু বলেন, ‘‘বিচার বিভাগ পৃথক করার পর বিচারকদের স্বাধীনভাবে রায় দেয়ার ক্ষমতা ও হার বেড়েছে৷ সেক্ষেত্রে যদি জনগণ অসন্তুষ্ট হয় তাহলেতো বিচারকদের কিছু করার নাই৷''
বিচারকদের তাহলে কাজ কি সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বিচারকদের কাছে যদি সঠিকমতো তথ্য না দেয়া হয়, আদালতের কাছে যদি সঠিক সাক্ষী উপস্থিত না করা হয়, তাহলে বিচারক কিভাবে জামিন দিবে৷''
এসএইচ/এআই