বেলুচিস্তানে ট্রেনে হামলা, পণবন্দিদের উদ্ধার করা হচ্ছে
১২ মার্চ ২০২৫বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। বালুচিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলে ট্রেনে আক্রমণ চালায় বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পরে ট্রেনের যাত্রীদের পণবন্দি করা হয়। পাকিস্তানের অফিসাররা এখনো জানাতে পারেননি, ঠিক কতজনকে পণবন্দি করা হয়ছে। তবে মনে করা হচ্ছে, ৪৫০ জন যাত্রীকে পণবন্দি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তারা জানিয়েছেন, ছাড়া পাওয়ার পর পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ পথ হেঁটে তাদের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছাতে হয়েছে। তাদের পরিবারের অনেকে এখনো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে বন্দি।
পাকিস্তানের সরকার জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের একটি বড় দল অভিযানে নেমেছে। পাঠানো হয়েছে সেনা হেলিকপ্টার। ট্রেনটি এখনো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। ট্রেন ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের তীব্র লড়াই চলছে। ট্রেনের ভিতর এখনো বেশ কিছু যাত্রী আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিহত ড্রাইভার
পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গে ঢুকেছিল। সেখানেই প্রথম আক্রমণ চালানো হয়। গুরুতর আহত হন ট্রেনের চালক। পরে তার মৃত্যু হয়।
বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ কাজ করেছে বলে স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, রেল লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা ট্রেনটিকে থামায়। ট্রেনের যাত্রীদের বন্দি করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা হলে বড় ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে তারা।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। তারা সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ চালিয়েছে, এর বদলা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ঘটনাস্থলে আরো নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনাস্থলটি পাহাড়ে ঘেরা। যার সুযোগ নিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। উপর থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে লড়াই করছে তারা।
বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী কারা?
স্বাধীন বালুচিস্তানের দাবিতে লড়ছে বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বেশ কয়েকটি সংগঠন আছে তাদের। বিএলএ তার মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী সংগঠন। এই রাস্তায় একাধিকবার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আক্রমণ চালিয়েছে। কিছুদিন আগে কোয়েটার একটি স্টেশনে আত্মঘাতী হামলা চালায় এক ব্যক্তি, ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)