বেড়িবাঁধ দিয়ে জার্মানির উপকূল রক্ষার চেষ্টা
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এমন পরিস্থিতি ঠেকানোর চেষ্টা চলছে৷ তবে সীমাবদ্ধতা আছে৷
এমন এক এলাকা হার্লেজিল৷ ওয়াডেন সির পাশে এটি অবস্থিত৷ এই শতকের শেষ নাগাদ সেখানকার পানির উচ্চতা প্রায় এক মিটার বা তার চেয়ে বেশি বাড়তে৷ পৃথিবী কত দ্রুত গরম হচ্ছে তার উপর এটি নির্ভর করে৷
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ওয়াডেন সি পর্যটকদের কাছে একটি প্রিয় গন্তব্য, কারণ, সেখানকার ভূতাত্ত্বিক ও পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যসমূহ অনন্য৷ কারণ, সেখানে ১০ হাজারের বেশি জাতের উদ্ভিদ ও প্রাণি বাস করে৷
এছাড়া আর্কটিক থেকে আফ্রিকায় যাওয়ার পথে প্রায় এক কোটি পাখি সেখানে খাবারের খোঁজে যাত্রাবিরতি দেয়৷
সাগরের পানি বাড়লে তাদের থাকার ও খাবার সংগ্রহের এলাকা কমে যাবে৷
পুরো এলাকাটি স্থায়ীভাবে সাগরের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে৷
হুমকির এখানেই শেষ নয়৷ সাগরের পানি যদি আরো ভেতরে প্রবেশ করে তাহলে কৃষিজমিতে লবণের পরিমাণ বাড়তে পারে৷ তখন ফসল ফলানো অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে৷ অথচ এলাকাটি বর্তমানে নিজেকে জার্মানির ‘এক নম্বর কৃষিপণ্য উৎপাদক' হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে৷
এমন পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে৷ কিন্তু এটি কি পানির উচ্চতাবৃদ্ধি ঠেকানোর মতো যথেষ্ট শক্তিশালী?
বেড়িবাঁধ যেন টিকে থাকে তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হার্লেজিল কর্তৃপক্ষ৷
বেড়িবাঁধের উচ্চতা কতটুকু হওয়া উচিত তা প্রতি ১০ বছরে একবার পরীক্ষা করে দেখেন পানি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এডা হেল্ড ও তার দল৷ এডা বলেন, ‘‘বেড়িবাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা পুরো এলাকা রক্ষার চেষ্টা করছি৷ এটা যদি বেশি নিচু হয়, বা কোথাও ভেঙে যায়, তাহলে শুধু এর পেছনে থাকা গ্রামই যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, পুরো পূর্ব ফ্রিজিয়া এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কারণ, পানি দ্রুত অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে৷''
বেড়িবাঁধ ১০ লাখেরও বেশি মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষা করছে৷ তবে কতদিন পর বেড়িবাঁধের উচ্চতা বাড়াতে হবে তার একটি সীমা আছে৷
এটি ব্যয়বহুল এবং উচ্চতা যদি খুব বেশি হয় তাহলে বাঁধের নিচের মাটি দূর্বল হয়ে যেতে পারে৷
ভবিষ্যতে এই এলাকায় বসবাস কঠিন হয়ে পড়তে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন৷
তবে সেখানকার বাসিন্দারা অন্তত এই শতাব্দী পর্যন্ত নিরাপদে থাকবেন৷
কাটারিনা শানটৎস/জেডএইচ