বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ভীতি চান না জার্মান রাজনীতিবিদরা
২৮ ডিসেম্বর ২০০৯জার্মান পার্লামেন্টে সরকার ও বিরোধী শিবির উভয়দিকের রাজনীতিবিদরাই এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷
পার্লামেন্টের অভ্যন্তরীন বিষয়ক পরিষদের চেয়ারম্যান ভল্ফগাং বসবাখ ‘বার্লিনার সাইটুং' পত্রিকাকে সোমবার বলেছেন, আমস্টার্ডাম থেকে ডেট্রয়েটগামী নর্থওয়েস্ট/কেলএম এর ফ্লাইট উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার সাম্প্রতিক ঘটনায় জার্মানির বিমানবন্দরগুলোতে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রবর্তনের কিছু নেই৷
বসবাখ বলেন, ‘‘ওই হামলা প্রচেষ্টা আমাদের জন্য নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের কারণ হতে পারে না৷''
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনেক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা গেছে কিন্তু আইন দিয়ে মানুষের ভুলত্রুটি দূর করা সম্ভব না৷
বসবাখ আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে বলবৎ থাকা কিছু নিরাপত্তা কড়াকড়ি তুলে শিথীল করার কথা ভাবছে৷ এর মধ্য বিমানে তরলপদার্থ নিয়ে ওঠার নিষেধাজ্ঞা বাতিলের চিন্তাও রয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন যে অনুসন্ধান করছি তা নিরাপত্তা ভীতির ফলাফল হিসেবে নয় সত্যিকার অর্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রয়োজনে৷
ওদিকে, বিরোধী শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক গ্রিন পার্টির হান্স-ক্রিশ্টিয়ান স্ট্রয়েবেলেও বসবাখের মতামতেরই প্রতিধ্বনি করেছেন৷ তিনি বলেছেন, আমস্টার্ডামের ওই ঘটনা সম্ভব হয়েছে গোয়েন্দা তথ্যের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারার কারণে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নয়৷
ওই ঘটনায় ব্যর্থ বোমারু উমর ফারুক আব্দুলমুত্তালাব একজন খ্যাতিমান নাইজেরীয় ব্যাংকারের ছেলে এবং উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংশ্রবের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই সে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির তালিকায় ছিল৷ সম্প্রতি তার বাবা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এটাও জানিয়েছিলেন যে উমর ফারুক জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করতে ইয়েমেনে গিয়ে থাকতে পারে৷
জার্মানির একটা পুলিশ ইউনিয়নের প্রধান রাইনার ভেন্ট বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য লোকবল বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এটা মনে করলে চলবে না যে নিরাপত্তা জোরদারে অর্থ প্রয়োজন নেই৷
ট্রান্সআটলান্টিক ওই ফ্লাইটে হামলা প্রচেষ্টার পর থেকেই জার্মানির বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা তল্লাশি বেড়েছে৷ রোববার জার্মানির কেন্দ্রীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, তল্লাশির কারণে দীর্ঘ লাইনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে তাদের৷
প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার