বিভারের কারণে কর্তৃপক্ষের ১২ লাখ ইউরো বেঁচে গেল
২৫ জুন ২০২৫কারণ, বিভারেরা সেই কাজ করে দিয়েছে৷ এতে কর্তৃপক্ষের প্রায় ১২ লাখ ইউরো বেঁচে গেছে৷
তবে এই কাজ করতে গিয়ে বিভারেরা হয়ত দেশের সব নির্মাণ ও পরিকল্পনা বিধি লঙ্ঘন করেছে - এবং সম্ভবত ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজের সময় নির্দেশিকাও৷
চেক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা বহুমিল ফিশার বলেন, ‘‘বিভাররা আমাদের কাজ করে দিয়েছে৷ এখন তারা বিনামূল্যে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে৷ যতদিন তারা এখানে আছে, তারা বাঁধের যত্ন নেবে৷''
সেখানে আগে শুকনো তৃণভূমি ছিল৷ আর এখন ফিশারের রাবার বুট পরেও চলতে কষ্ট হয়৷
বিভারের একটি দল এখানে চার বছর ধরে তাদের আবাস তৈরি করছে৷ তাদের কারণে পলি জমা থাকায় ক্লাবাভা নদীতে বাস করা বিরল স্টোন ক্রেফিশ রক্ষা পাচ্ছে৷
বিভাররা সত্যিই অনেক পরিশ্রম করে৷ একটি বিভার বছরে ২০০টি পর্যন্ত গাছ কাটতে পারে৷ বিভারেরা ইতিমধ্যেই পার্ক প্রশাসনের নির্মাণ পরিকল্পনাকে ছাড়িয়ে গেছে৷ আক্ষরিক অর্থে, এটি এক অমূল্য সাহায্য৷
ফিশার জানান, ‘‘বিভারেরা যে কাজ করেছে, তা যদি আমাদের করতে হতো, তাহলে কত খরচ হতো, তার একটা আনুমানিক হিসাব আমরা করেছি৷ সেটা প্রায় ৩০ মিলিয়ন করুনা, অর্থাৎ, প্রায় ১.২ মিলিয়ন ইউরো৷''
অর্থাৎ, তারা শুধু সুন্দরই নয়; পরম সম্পদও৷ এবং সম্ভবত পরেরবার লোমশ এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরও কাজের চুক্তির আওতায় আনা উচিত৷
ফিশার বলেন, ‘‘বিভারেরা আমাদের প্রকল্পের চেয়েও অনেক বেশি সৃজনশীল ছিল৷ আমাদের প্রযুক্তিগত পদ্ধতির চেয়ে ভূ-প্রকৃতি বিবেচনায় এটা আরও ভালো কৌশল ছিল৷''
সবমিলিয়ে মানুষ আর বিভার উভয়ের জন্যই এটি একটি শুভ সমাপ্তি৷ আর সেই কথাটিও যেন সত্যি: কখনো কখনো প্রকৃতিই সবচেয়ে ভালো জানে!
ডাঙ্কো হানড্রিক/জেডএইচ