বিজেপি-র নবান্ন অভিযান ঘিরে কলকাতায় তুলকালাম
পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তা সত্ত্বেও নবান্ন অভিযানে বিজেপি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, লাঠি, গ্যাস, পাথর সবই হলো। ব্যাপক যানজটে নাজেহাল হলো কলকাতা।
অভিযান ঘিরে তুলকালাম
রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন হাওড়ায়। তাই কলকাতা থেকে হাওড়ার মধ্যে সংয়োগকারী দুইটি সেতুই বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে ফেরিও চলেনি। কলকাতা থেকে নবান্নে পৌঁছানোর রাস্তা পুলিশ বন্ধ করে দেয়। হাওড়ার রাস্তাও বন্থ ছিল। তারপরেও বিজেপি কর্মীরা নবান্ন যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে।
চারদিকে ব্যারিকেড
নবান্ন যাওয়ার পথে জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করেছিল পুলিশ। অনেক জায়গায় রাস্তায় গর্ত করে ব্যারিকেডের রড তাতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, যাতে বিজেপি কর্মীরা তা ভাঙতে না পারে। হাওড়া ব্রিজে ঢোকার মুখে ছিল ব্যারিকেড এবং পিছনে জলকামান।
নামানো হয় দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ
হাওড়া ব্রিজের কাছের ছবি। নামানো হয়েছে দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ।
রক্ষাকবচ নিয়ে
বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে এভাবেই দেখা গেছে। বুক-পিঠ তো বটেই, এমনকী পায়েও ক্রিকেটারদের মতো প্যাড পরা। একহাতে ঢাল, অন্যহাতে লাঠি।
পুলিশের অনুমতি ছিল না
বিজেপি-র নবান্ন অভিযানের অমুমতি দেয়নি পুলিশ। তা সত্ত্বেও জোর করে নবান্ন অভিযান করতে যায় বিজেপি। তার জেরেই কলকাতা স্তব্ধ হয়ে যায়।
যথেচ্ছ কাঁদানে গ্যাস
প্রচুর বিজেপি কর্মীরা সাঁতরাগাছি দিয়ে নবান্ন যেতে চান। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।
বিজেপি কর্মীরা পাথর মারে পুলিশকে
বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপি কর্মীদের দেখা যায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে। বিশেষ করে হাওড়া ব্রিজের কাছে ও সাঁতরাগাছিতে।
রণক্ষেত্র
পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষের পর রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় হাওড়া ব্রিজের কাছের এলাকা। এই ছবিই সেই সাক্ষ্য দিচ্ছে।
এক কাণ্ডের পরেও
এত কাণ্ডের পরেও বিজেপি কর্মীরা নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি। পুলিশ তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। নেতাদের আটক করে।
বিশাল যানজট
স্বাভাবিকবাবেই বিশাল যানজট দেখা দেয়। কলকাতায় যে রাস্তাগুলো খোলা ছিল, সেগুলিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি, বাস।