বাংলাদেশে গ্রেপ্তার আরসা প্রধান জুনুনি
১৯ মার্চ ২০২৫জুনুনি মিয়ানমার সুরক্ষা বাহিনীর উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বাংলাদেশের পুলিশ কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ প্রধান প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জুনুনি খুন এবং ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতার ছক কষছিলেন।
মঙ্গলবার র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়নের রক্ষীবাহিনী জুনুনি এনং তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে ময়মনসিংহ থেকে তার দলের আরো চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।
পুলিশ ইন্সপেক্টর কাইয়ুম খান সৈয়দ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এক জেলা আদালত অভিযুক্তদের ১০ দিনের হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছে। এর মধ্যে তাদেরকে খুন, ষড়যন্ত্র এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরসার ইতিহাস
ওয়ার্ল্ড ক্রাইসিস গ্রুপের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, জুনুনি ২০১৬ থেকে মিয়ানমারের উত্তরভাগে রাখাইন প্রদেশের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসার প্রধান। ২০১৭-তে যখন আরসার বিরুদ্ধে রাখাইন প্রদেশের সুরক্ষা পোস্টে নাশকতার অভিযোগ ওঠে, জুনুনি তখনও সেই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে মনে করা হয়।
অনলাইনে একটি ভিডিওতে তাকে মুখোশ পরা বন্দুকধারী বাহিনীর সঙ্গে নিপীড়িত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করার শপথ নিতে দেখা যায়। তখনই তিনি লোকচক্ষুর সামনে আসেন।
২০১৭-র সেই আক্রমণের প্রত্যাঘাতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর তীব্র আক্রমণ চালায়। প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
জুনুনির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সামরিক অফিসারকে খুনেরও অভিযোগ আছে।
আরসার বিরুদ্ধে সীমান্ত অঞ্চলে মাদক ব্যাবসা, অপহরণ, লুঠতরাজ , বাংলাদেশ উদ্বাস্তু ক্যাম্পে অত্যাচার-সহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে।
এসসি/জিএইচ(এএফপি, ডিপিএ)