আইন-শৃ্ঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তার বাণী ও জনগণের মোবাইল ফোন?
২০ আগস্ট ২০২৫সম্প্রতি সাংবাদিক তুহিন হত্যার পর তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ঘাতকদের প্রতিহত করতে উপস্থিত জনগণ তো অন্তত হাতের মোবাইলটা ছুঁড়ে মারতে পারতো!
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি৷ সাড়া জাগানোর প্রধান কারণ গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন৷ তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয় বিষয়টি নিয়ে। এত রাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকার বিষয়টি বিস্মিত করেছিল সবাইকে। বিস্ময় নিয়েই অনেকে রাত জেগেছেন কী জানি কী হয় ধরনের উৎকণ্ঠা নিয়ে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে আইন-শৃঙ্খা নিয়ে খুব সাধারণ কথাই বলেছেন তিনি। তাহলে এমন গভীর রাতে কেন সংবাদ সম্মেলন?
ওই সময়ে এক রাতেই অনেকগুলো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারপরই রাত ৩টায় সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে, দেশবাসীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন," আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ঘুম হারাম করে দেবো।”
কী হয়েছে তারপর? কী এমন উন্নতি হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির? কার্যত ওই সংবাদ সম্মেলনের ছয় মাস পরও পরিসংখ্যান মোটেই জনমনে স্বস্তি জাগাতে পারছে না, জনারণ্যে কান পাতলেও শোনা যাচ্ছে না সন্ত্রাস কমার বা সন্ত্রাসীদেরঘুম কেড়ে নেয়ার গল্প।
ছিনতাই, দখল, হত্যা, চুরি ডাকাতি, মব ভায়োলেন্স, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, শিক্ষক নির্যাতন, সাংবাদিক-নির্যাতন সবই শঙ্কাজনক মাত্রায় অব্যাহত।
‘অপারেশন ডেভিল হান্টে রাঘববোয়াল সবাই ধরা পড়বে'
গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দিয়ে শুরু করা হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট'। তখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জোর গলায় আশ্বাসবাণী শোনান, " অপারেশন ডেভিল হান্টে চুনোপুঁটি থেকে রাঘববোয়াল সবাই ধরা পড়বে। যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছাড় পায়নি।”
তারপর থেকে রাজধানীতে এবং রাজধানীর বাইরে নানা স্থানে নানা ধরনের বক্তব্য শোনা গেছে স্বরাষ্ট উপদেষ্টার মুখে৷ সেসব বক্তব্যে যতটা না ফুটে উঠেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের স্বস্তি, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রকাশ পেয়ে নতুন নতুন শব্দ ও বাক্য চয়নে ব্যর্থতা আড়াল করার মরিয়া প্রয়াস৷
‘লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তথ্য দিলে পুরস্কার দেবে সরকার'
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পথচলা শুরু ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট৷ এক বছর পার হওয়ার পর, গত ১০ আগস্ট সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ৫ আগস্টের আগে-পরে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তা উদ্ধারে সরকার শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি দেবে। অস্ত্র উদ্ধারে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে সরকার পুরস্কার দেবে।'' লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সহযোগিতা করলে বা এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলে কত টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করতে কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সারা দেশ থেকে লুট হওয়া কতগুলো অস্ত্র উদ্ধার করা এখনো বাকি তা জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘৭০০-র বেশি। তবে সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।''
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দিকে মোবাইল ছুঁড়ে মারার ‘পরামর্শ'?
১০ আগস্ট সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন৷ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ আইনের আওতায় এসেছে- এমন দাবি করে তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে যত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সরকার তা নেবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি৷ এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে রক্ষায় ব্যর্থতার বিষয়ে খুব আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘এ জাতি অসহিষ্ণু হয়ে গেছে। ধৈর্য নেই। আগে সমাজে খারাপ ঘটনা ঘটতে থাকলে লোকজন প্রতিহত করতে ঝাঁপিয়ে পড়তো। এখন জিনিসটি কমে গেছে। সবাই ভিডিও করছে। অথচ ঘটনা মোকাবিলায় মোবাইলটা ছুঁড়ে মারলেও কিছু একটা হয়। কিন্তু এ জিনিসটা কমে গেছে।''
‘আমরা সব সময় চুনোপুঁটি ধরি'
ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জোর গলায় বলেছিলেন," অপারেশন ডেভিল হান্টে চুনোপুঁটি থেকে রাঘববোয়াল সবাই ধরা পড়বে। যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে। কিন্তু গত ১৮ আগস্ট সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা শেষে দেয়া তার বক্তব্যে চুনোপুঁটির চেয়ে বড় কোনো সন্ত্রাসী ধরা পড়ার মতো তথ্য পাওয়া যায়নি৷ সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীক বলেন, "মব জাস্টিস যত কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বলবো না যে, মব জাস্টিস এলিমিনেট (দূর) হয়ে গেছে। এখনো হচ্ছে, যেমন, রংপুরে একটি মব জাস্টিস হয়েছে। ঢাকায় তুলনামূলক কমেছে, তবে আশেপাশে মব জাস্টিস দু-একটি হয়েই যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এটি যতটা কমিয়ে আনা যায়।”
তিনি আরো বলেন, " সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, নিরীহ কেউ যাতে শাস্তি না পায়। অপরাধী যাতে ছাড় না পায়। আমরা সব সময় চুনোপুঁটি ধরি। রুই-কাতলা ধরা পড়ে না। রাঘব বোয়ালদের ধরার চেষ্টা চলছে।''
পদত্যাগের দাবির পর থেকে ছয় মাসে কতটা উন্নতি?
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল৷ এমন আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ''-এর ব্যানারে বিক্ষোভে নামা আন্দোলনকারীরা। পদত্যাগের দাবির জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "যে কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে বলে, সেই কারণ যদি উন্নতি করে দিতে পারি, তাহলে তো পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন উন্নতি হয় আমি সেই ব্যবস্থা করছি।”
তারপর কেটে গেছে প্রায় ছয় মাস। ছয় মাস পর বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কেমন? আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত গত সাত মাসে মব-সহিংসতা ও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১০৩ জন। এ সময়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৯২টি। রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছে ২৮৮টি এবং তাতে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭৩ জন।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে এক হাজার ৯৩০ জন খুন হয়েছেন৷ এর মধ্যে জুন মাসে সর্বোচ্চ ৩৪৩ জন খুন হন। এ সময়কালে সারা দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৩৬৬টি এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১১ হাজার ৮টি।
ডিএমপির হিসাব বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে ঢাকা মহানগরের ৫০ থানায় ৩৩টি ডাকাতি, ২৪৮টি ছিনতাই, ১২১টি খুন এবং এক হাজার ৬৮টি চুরির মামলা হয়েছে। এ হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে ২০টির বেশি খুন, পাঁচটি ডাকাতি ও ৪১টি ছিনতাই মামলা রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া মাসে ৭০টি চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে।
‘এভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলে না'
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্পর্কে পুলিশের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ বজলুল করিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, " স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আমি অনেক আগে থেকেই অবজার্ভ করছি। উনি আইন-কানুন বোঝেন কম। ফলে নানা কথা বলেন। কাজের কাজ করতে পারছেন না- নাথিং...... নাথিং। পুলিশের গায়ে হাত দিয়ে বলেন, খাইছো নাকি, কি দিয়ে খাইছে? একজন উপদেষ্টার কাজ এসব নাকি? কয় বিয়া করছো? কয়টা বউ? এসব প্রশ্ন চলে? তাকে এসব প্রশ্নে মানায়?”
তিনি মনে করেন, "উনি যা করছেন তাতে তো চেইন অব কমান্ড থাকে না। এই কারণেই তো পুলিশে কোনো উন্নতি হচ্ছে না, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তিনি আসল কাজ করেন না। মজা পেয়েছেন, মজার কথা বলেন, সবাই শোনে। মিডিয়াও মজা পেয়েছে। তার কথা বড় করে প্রচার করে। সবাই দেখে ভাইরাল হয়। তিনি বলেন, চুল সব পেকে গেছে, পদত্যাগ করবো। সবাই মজা পায়। এভাবে তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলে না।”
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, " আমার মনে একটি প্রশ্ন আছে, সেটা হলো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পারেন না, না কাজ করতে চান না বা তাকে কাজ করতে দেয়া হয় না? তার যে পেশাগত ব্যাকগ্রাউন্ড, তাতে আমার মতো অনেকেরই ধারণা ছিল যে, তিনি হয়তোবা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবেন। কিন্তু তিনি আমাদের হতাশ করছেন।”
"আমরা দেখি, তিনি বেশ সক্রিয়। বিভিন্ন বিষয়ে বিনা প্রয়োজনেও কথা বলেন। কিন্তু তার জন্য যেটা প্রয়োজনীয়, তার যেটা করা দরকার- তিনি সেটা করছেন না বা করতে পারছেন না,” বলেন তিনি।
তার কথা," তিনি এই সরকারের বলতে গেলে প্রায় শুরু থেকেই (শুরুতে কিছুদিন এ দায়িত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন। মব মন্ত্রাসসহ নানা অপরাধ ঘটেই চলেছে। নানা অপকর্ম হচ্ছে। তারপরও তিনি আছেন। এটা কীভাবে সম্ভব?”
"আমার মনে হয়, তিনি যে এই নানা ধরনের আজগুবি কাজ করেন, রসালো কথা বলেন, তৎপরতা দেখান- এটা তার একটা কৌশল। এর মাধ্যমে তিনি তার ব্যর্থতা আড়াল করতে চান। এটা তার একটা ক্যামোফ্লাজ।” বলেন তিনি।
তার ভাষায়, " সরকারে এরকম আরো উপদেষ্টা আছেন। কেউ সরকারে বসে রাজনীতি করছেন, দেশের জন্য ক্ষতিকর কথা বলছেন, আবার কেউ কোনো কাজই করছেন না। ফলে নানা সংকট তৈরি হচ্ছে।”
মানবাধিকার কর্মী নূর খান মনে করেন, " তাকে (স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা) দেখে আমার মনে হচ্ছে, তার যা কাজ সেটা সে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে, যেটা তার কাজ নয়, সেটা নিয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অনেক বিষয়ে কথা বলছেন, কিন্তু তার যে মূল কাজ সেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না। ফলে মানুষ আশাহত হচ্ছে, ভয় পাচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, "একেক মানুষের কথা বলার ধরন একেকরকম। সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে, যার যে দায়িত্ব সেটা পালন না করা। এই সরকারে শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নয়, অনেক উপদেষ্টার মধ্যেই এই সমস্যা আছে।”
সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন," এই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সমস্যা হচ্ছে এখানে অতি বয়স্ক এবং অতি কম বয়স্ক - এই দুই ধরনের উপদেষ্টাই আছেন। যারা অতি বয়স্ক তাদের মন্ত্রণালয় চালানোর মতো মানসিক ও শরীরিক অবস্থা নাই আর যারা কম বয়স্ক তাদের ম্যাচিউরিটি নাই। থাকলে একজন উপদেষ্টা মোটর সাইকেলে করে নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যেতে পারেন? আরেকজন তরুণ উপদেষ্টা একটি প্রতিবেশী দেশের ভূখণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন? এগুলো তো সরকারের বিপদ ডেকে আনে।”
মাসুদ কামাল আরো বলেন, "একজন উপদেষ্টা বলে ফেললেন পিতৃত্বকালীন ছুটির দরকার নাই। তিনি এটা কীভাবে বলছেন? আবার একজন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি নিয়ে সন্দেহের কথা জানালে তা যে ঠিক নয়, তা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তাহলে হচ্ছেটা কী? উপদেষ্টার কথার বিরুদ্ধে প্রেস সচিব কথা বলতে পারেন?”
"স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অনেক বয়স হয়েছে। আমার বিবেচনায় তিনি আসলে উপদেষ্টা হওয়ার জন্য ফিট নন। তার অবসর কাটানো দরকার। তার মতো আরো অনেকে এখন এই সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে অবসর বিনোদন করছেন। ফলে পরিস্থিতি যা হওয়ার তাই হচ্ছে,” বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একইসঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে আছেন। তবে সেই মন্ত্রণালয় নিয়ে তার তেমন কোনো কথা শোনা যায় না, তৎপরতাও দেখা যায় না। সব বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য জানতে তাকে ফোন করে এবং মেসেজ পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।