বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাংক ভেঙে প্ল্যাটফর্মে, মৃত তিন
ভয়ংকর ঘটনা বর্ধমান স্টেশনে। স্টেশনের উপরে থাকা লোহার জলের ট্যাংক ভেঙে পড়লো প্ল্যাটফর্মে। মারা গেলেন তিন জন।
ওভারহেড ট্যাংক প্ল্য়াটফর্মে
কলকাতা থেকে একশ কিলোমিটার দূরের বর্ধমান রেলস্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বুধবার এই অতি ব্যস্ত স্টেশনে দুই ও তিন নম্বর প্ল্য়াটফর্মের উপর ভেঙে পড়লো ওভারহেড জলের ট্যাংক। প্ল্যাটফর্মের উপরের যাত্রীছাউনি ভেঙে তা নিচে পড়ে। প্রবল শব্দ হয়।
মৃত তিন, আহত ২৩
এই ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৩৪ জন। এমনিতে বর্ধমান খুবই ব্যস্ত স্টেশন। কিন্তু রেলকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর ১২টা বেজে আট মিনিট নাগাদ। তখন স্টেশনে ভিড় একটু কম ছিল। অফিসটাইম হলে প্রচুর মানুষ মারা যেতে পারতেন।
অনেক পুরনো ট্য়াংক
যাত্রীদের অভিযোগ, এই ট্যাংকটি ১৩৩ বছরের পুরনো। এখান থেকে নিয়মিত জল চুঁইয়ে পড়ত। বারবার রেল কর্তৃপক্ষকে বলেও কাজ হয়নি। গত অগাস্ট মাসে বর্ধমান স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলার কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার কয়েক মাস পরে এই দুর্ঘটনা ঘটলো।
যাত্রীদের অভিযোগ
যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, রোজই অফিসটাইমে শেষমুহূর্তে ট্রেন কোন প্ল্য়াটফর্মে আসবে তার ঘোষণা করা হয়। তখন প্রচণ্ড হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে যে কোনো দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলিসের এফআইআর
দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছেন মাফিজা খাতুন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মেরামতির দায়িত্বে থাকা রেলের কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছে। তাছাড়া দুর্ঘটনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। রেলও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
আহতরা হাসপাতালে
এই ঘটনায় ৩৪ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। অল্প আহতদের প্রাছথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, আহতদের তারা রেলের হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করাতে চান।
হাসপাতালের সুপার যা বলেছেন
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার বলেছেন, ২৭ জন আহতকে তারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছেন। তিনজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। পূর্ব রেলের চিফ জেনারেল ম্য়ানেজার সুমিত সরকার বলেছেন, রেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের দল ঘটনাস্থলে এসছেন। তারা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছেন।