ফোনকল ফাঁস কাণ্ডে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
১ জুলাই ২০২৫মে মাসে কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত সংঘর্ষের বিষয়ে নিজের ভূমিকার জন্য দেশের জনতার সমালোচনার মুখোমুখি হয়ে আসছিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতান শিনাওয়াত৷
৩৬জন সেনেটর শিনাওয়াতের বিরুদ্ধে অসততা ও নৈতিক মান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন৷ সেই অভিযোগেই বিচারকরা শিনাওয়াতকে বরখাস্ত করেন৷
যে কারণে বরখাস্ত
১৫ জুন কম্বোডিয়ান সেনেট প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সাথে ফোনালাপের সময় শিনাওয়াত থাইল্যান্ডের এক সেনা কমান্ডারের সমালোচনা করেন৷ পরে শিনাওয়াত ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন ওটা শুধুই কূটনৈতিক চাল ছিল৷
কিন্তু তারপর, শনিবার ব্যাংককের রাস্তায় প্রতিবাদে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ, যাদের মধ্যে অনেকেই জাতীয়তাবাদী, রক্ষণশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী৷ তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ৷
শিনাওয়াত বলেন, ‘‘ঝামেলা ও দ্বন্দ্ব এড়ানোর কথা ভেবেই আমি যা করার করেছি৷ সেনার যাতে কোনো ক্ষতি না হয় ভেবেই আমি করেছি৷ আমি মেনেই নিতে পারতাম না যদি এমন কিছু বলতাম, যার নেতিবাচক প্রভাব হতে পারে৷''
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সাংবিধানিক আদালতে শিনাওয়াতের নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে৷ ততদিন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় থাকবেন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুয়ানগ্রুনগুয়াংকিট৷
চাপে থাই কর্তৃপক্ষ
ফাঁস হওয়া ফোন কলের ফলে সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারেন পেতোংতান শিনাওয়াত৷ ইতিমধ্যেই তার সরকারের জোটসঙ্গী একটি দল সরকার থেকে বেরিয়ে সংসদে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছে৷
এর আগেও শিনাওয়াতের বিরুদ্ধে নৈতিকতা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে৷ আরেকটি ভিন্ন মামলায় তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডের জাতীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন৷
তার আগের প্রধানমন্ত্রীকে গত বছর নৈতিকতা ভঙ্গের কারণেই পদচ্যুত করে সাংবিধানিক আদালত৷ এর আগে, শিনাওয়াতের পিতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা হারান৷
ম্যাট ফোর্ড/এসএস