ফিলিপাইন্সের মিন্দানাও দ্বীপে আবারও ভূমিকম্প
৪ ডিসেম্বর ২০২৩সপ্তাহান্তে একই এলাকার চারপাশে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে৷ ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টার একটু আগে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে৷ উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে এবং প্রায় ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) গভীরে এটির উৎপত্তি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
এর আগে শনিবার গভীর রাতে ৭.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে এই দ্বীপে৷ এরপর রোববারেও একই এলাকায় ৬.৬ মাত্রার আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়৷ ইউএসজিএস এর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আফটার শক ব কম্পন পরবর্তী আঘাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ সবশেষ ভূকম্পনের আগ পর্যন্ত এই আফটার শক অনুভূত হচ্ছিল৷
শনিবারের ভূমিকম্পে দুই জনের মৃত্যু
শনিবার রাতের ভূমিকম্পে দুই জনের মৃত্যু ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ এছাড়া, অনেক ভবন ও ঘরবাড়ির ধসে পড়ার কথাও জানানো হয়েছে৷
হিনাতুয়ার পুলিশ স্টাফ সার্জেন্ট জোসেফ ল্যাম্বো বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, সবশেষ ভূমিকম্পের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপটির মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে৷ জীবন বাঁচাতে তারা ছোটাছুটি করছেন৷ কারণ, বাড়ি ঘর ভেঙে পড়ার আশঙ্কা কাজ করছে সবার মনে৷
তিনি বলেন, ‘‘আগের রাতের ভূমিকম্পের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কারণে তারা সবাই আতঙ্কিত৷’’
সোমবার ভোররাতের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছে পুলিশ৷
শনিবারের ভূমিকম্পের কারণে, ওই অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল৷ পরে অবশ্য সেটা তুলে নেওয়া হয়৷
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’ বরাবর অবস্থানের কারণে ভূমিকম্প ফিলিপাইন্সের জন্য নিয়মিত ঘটনাহয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কারণ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই অঞ্চলটি ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷ নভেম্বরের মাঝামাঝি ৬.৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে বেশ কয়েকজন নিহত হয়, ধসে পড়ে একটি বিপণি বিতান৷
টিএম/কেএম (এএফপি, এপি)