প্রয়োজনে পরমাণু যুদ্ধ, ইউক্রেনকে হুমকি পুটিনের
এদিকে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা ভবনে একটি ড্রোন এসে আঘাত করেছে বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
পুটিনের হুমকি
রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সর্বশেষ অস্ত্র দিয়ে তা রক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে পরমাণু যুদ্ধে নামতেও দ্বিধা করবে না রাশিয়া, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন।
প্রেসিডেন্টের নির্বাচন
চলতি সপ্তাহেই রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পরিস্থিতি যা, তাতে পুটিন-ই এই নির্বাচনে জয়ী হবেন। রাশিয়াকে কার্যত বিরোধীশূন্য করে দিয়েছেন পুটিন। জেলে মৃত্যু হয়েছে পুটিন-বিরোধী রাজনীতিক নাভালনির।
লড়াই আরো তীব্র হতে পারে
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বুধবার পশ্চিমা দেশগুলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন। তার বক্তব্য, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে। কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়ে রাশিয়াকে পরাস্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনটা ঘটতে থাকলে ইউক্রেন-যুদ্ধ আরো বড় আকার ধারণ করবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
পাঁচ বিলিয়ন ইউরো পাবে ইউক্রেন
ইউক্রেনের জন্য পাঁচ বিলিয়ন ইউরোর বাজেট তৈরি করেছে ইইউ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে এবিষয়ে সমস্ত দেশ ঐক্যমত্য হয়েছে। এই বাজেট একদিকে যেমন ইউক্রেনের জন্য নতুন অস্ত্র কিনতে ব্যয় করা হবে, অন্যদিকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ইউক্রেনকে নতুন করে গড়ে তুলতেও কাজে লাগবে। মানবিক সাহায্যও করা হবে।
পুটিন-বিরোধী শক্তি সীমান্তে
ইউক্রেন সীমান্তে পুটিন-বিরোধী একাধিক স্বাধীনতাকামী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক সেনা হিসেবে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। ইউক্রেনের সেনার পাশাপাশি তারাও রাশিয়ার সেনার সঙ্গে লড়াই করছে। বুধবার তেমনই তিনটি সংস্থার একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা সীমান্ত পার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে।
বেসামরিক মানুষের প্রতি আর্জি
ওই সংগঠনগুলি জানিয়েছে, রাশিয়ার সীমান্তে অবস্থিত সেনা ছাউনিগুলিতে এবার তারা আক্রমণ চালাবে। ফলে সাধারণ মানুষকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে তারা। ক্রেমলিন অবশ্য এমন তথ্য স্বীকার করেনি।
ফিনল্যান্ড সীমান্তে রাশিয়ার সেনা
সম্প্রতি ন্যাটোর সদস্য হয়েছে ফিনল্যান্ড। তারই জেরে ফিনল্যান্ড সীমান্তে বিপুল সেনা এবং অস্ত্র পাঠিয়েছে মস্কো।
সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড
ন্যাটো এবং রাশিয়ার থেকে সম-দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল ছিল সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন অভিযান চালানোর পর দুই দেশই তাদের কৌশল পরিবর্তন করে। সম্প্রতি দুইটি দেশই ন্যাটোর সদস্যপদ পেয়েছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ রাশিয়া।
রাশিয়ার পরমাণু শক্তি বিপুল
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুটিন বলেছেন, ''আমরা পরমাণু যুদ্ধ চাই না। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলি যদি লাল লাইন পার করে, তাহলে আমরাও তা করব।'' পুটিনের দাবি, তাদের কাছে যে পরিমাণ পরমাণু শক্তি আছে, পশ্চিমা বিশ্বের কাছে তা নেই।