প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর স্বশাসনের প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
১১ আগস্ট ২০১০ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি শান্ত করতে অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ গতকাল রাতে টেলিভিশন ভাষণে তিনি শান্তিকে একটা সুযোগ দেবার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক সমাধান হিসেবে রাজ্যকে স্বশাসন দেবার যে কথা বলেছেন, তাতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তিন ধরণের প্রতিক্রিয়া হয়৷ রাজ্যে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে৷ রাজ্যের প্রধান বিরোধি দল পিডিপি প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়ে বলেছে, এটা অনেক দেরিতে, অনেক কম৷ দীর্ঘ মেয়াদি শান্তির লক্ষ্যে এটা এক যৌক্তিক সিদ্ধান্ত৷ শান্তির হাত ধরেই আসবে অর্থনৈতিক উন্নতি৷ তবে এখনও অনেক কিছু করা বাকি৷
জম্মু-কাশ্মীরের সিপিআইএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগানির মতে, পাকিস্তানকেও আলোচনার টেবিলে আনা দরকার৷ কট্টর কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদি নেতা গিলানির ভাষায় এতে নতুন কিছু নেই৷ সেই একই পুরানো নীতির চর্বিত চর্বণ৷ কাজেই বাতিল৷ মধ্যপন্থী হুরিয়াত নেতা মীরওয়াইজ ওমর ফারুক বলেন, দরকার পূর্ণ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার৷ আমরা ভারতে থাকবো নাকি পাকিস্তানের সঙ্গে যাব নাকি পূর্ণ স্বাধীন দেশ হবো, সেটা হবে নিজেদের সিদ্ধান্ত৷ মোট কথা, প্রধানমন্ত্রীর শান্তি প্রস্তাবে উত্তরের চেয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশি৷
দেশের প্রধান বিরোধি দল বিজেপি বলেছে, সর্বদলীয় সহমতের ভিত্তিতে স্বশাসনের কথা ভাবা যেতে পারে৷ বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তবে তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে ভেঙ্গে বলতে হবে স্বশাসন মানে কী বোঝাতে চাইছেন তিনি৷ স্বশাসনের তীব্র সমালোচনা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেছে, কাশ্মীরের ভারতভুক্তি চুড়ান্ত৷ সংবিধানের বিশেষ সংস্থান ৩৭০ ধারা রদ করা উচিত৷
কাশ্মীর বিরোধ নিয়ে দুটি পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দু-দুবার যুদ্ধ হয়৷ কিন্তু মীমাংসা হয়নি কাশ্মীর প্রশ্নের৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ