পশ্চিমবঙ্গে মন্ত্রী মলয়ের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি
৭ সেপ্টেম্বর ২০২২মলয় ঘটক, তার ছেলে এবং সিএ-র বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। কলকাতা, আসানসোল মিলিয়ে মোট ছয়টি বাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে। তার মধ্যে আলিপুরে মলয় ঘটকের বাড়ি যেমন আছে, তেমনই লেক গার্ডেন্সে তার ছেলের বাড়িও আছে। আসানসোলে মলয় ঘটকের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চলছে। এমনকী তার সিএ-র বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কয়লা কেলেঙ্কারির সূত্র ধরে এই তল্লাশি চলছে।
লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে সিবিআই কর্মকর্তারা যখন পৌঁছান, তখন মন্ত্রীর ছেলে বা পুত্রবধূ সেখানে ছিলেন না। বাড়ির বাইরে তালা ছিল। সিবিআই অফিসাররা রাঁধুনিকে দিয়ে তালা ভাঙেন। এরপর ঘরের ভিতর আলমারির তালা ভাঙা হয় বলে টিভি৯ জানাচ্ছে। বাড়ির সামনে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগে মলয় ঘটককে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কয়েকদিন আগেই তারা কয়লা-কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেছে। তার শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে দিল্লিতে জেরা করতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট বলেছে, কলকাতায় এসে জেরা করতে হবে সিবিআইকে। অভিষেকের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে আপাতত সিবিআই কোনো চরম ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
বিধায়ককে তলব
তৃণমূলের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকেও জেরার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। তবে সুবোধকে ডাকা হয়েছে চিটফান্ড মামলায়। মঙ্গলবার তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নিজে না গিয়ে আইনজীবীদের পাঠিয়েছিলেন সুবোধ। আইনজীবীরা জানান, ১৫ বছরের পুরনো কাগজ চাইছে সিবিআই। তারা ১৫ দিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই সেই অনুরোধ না মেনে আবার নোটিশ দিয়েছে বিধায়ককে।
অনুব্রত মামলার শুনানি
বুধবার আসানসোলে অনুব্রত মন্ডলের মামলার শুনানি হয়েছে। অনুব্রতকে আদালতে হাজির করানো হয়। অনুব্রত ও তার ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা আছে, সেটা কোথা থেকে এসেছে, সে ব্যাপারে তথ্য জমা দিয়েছে সিবিআই। বিচারক জানতে চান, গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রত কীভাবে জড়িত ছিল? সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, অনুব্রত শুল্ক কর্মী ও অফিসারদের হুমকি দিতেন।
আয়কর তল্লাশি
ভারতে প্রচুর রাজনৈতিক দল আছে, যারা নথিভুক্ত হলেও স্বীকৃত নয়। এদের বলা হয় রেজিস্টার্ড আনরেকগনাইজড পলিটিক্যাল পার্টি(আরইউপিপি)। বুধবার দেশজুড়ে এরকম রাজনৈতিক দলের অফিসে আয়কর অফিসাররা তল্লাশি চালাচ্ছেন। আয়কর ফাঁকি দেয়া সংক্রান্ত মামলার সূত্রে এই তল্লাশি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ৮৭টি সংস্থাকে আরইউপিপি-র তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। কারণ, তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, ওই সব দলের অফিস বলতে কিছুই নেই। কমিশন ঘোষণা করে, তারা দুই হাজার একশ নথিভুক্ত স্বীকৃতিহীন দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তারা বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত।
সেই সূত্র ধরেই আয়কর তল্লাশি চলছে দিল্লি, লক্ষ্ণৌ, গুরুগ্রাম, চণ্ডিগড়, মুম্বই, হায়দ্রাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)