পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুর আটটি হট স্পট
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার জরুরি বৈঠকে বসেছিল কলকাতা পুরসভা। বৈঠকে হাজির ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তারা জানিয়েছেন, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভা একটি নির্দেশাবলি তৈরি করেছে। তা অগ্রাহ্য করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নির্মীয়মাণ বাড়িগুলিতে পুরসভার দল পাঠানো হবে। তারাখেয়াল রাখবে সেখানে জল জমছে কি না। নিয়মিত জলের পাত্র পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি পুরসভা এলাকার বিভিন্ন পুকুর পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে নোংরা ফেললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতীন।
সংবাদমাধ্যমকে অতীন জানিয়েছেন, ''কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বৈঠকে ছিলেন। মেয়র বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পুরসভা এলাকায় পুকুরের আশপাশের বাড়িগুলিকে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।''
কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার পরিস্থিতি সবচেয়ে আশঙ্কাজনক। প্রতিদিন সেখানে শয়ে শয়ে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলি ভরে গেছে ডেঙ্গুর রোগীতে।
এদিন কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় খিদিরপুরে ডেঙ্গু ফিভার ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। ইসলামিয়া হাসপাতালকেও ডেঙ্গু ফিভার ক্লিনিকে পরিণত করা হবে। সেখানে ২০০টি শয্যা থাকবে। এছাড়াও শহর এবং শহরতলিতে ডেঙ্গুর জন্য বিশেষ ক্লিনিকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানানো হয়েছে।
তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ কলকাতা পুরসভা এবং স্বাস্থ্যভবন যে সংখ্যা বলছে তার মধ্যে গরমিল আছে। বুধবার অতীন জানিয়েছেন, ''যেহেতু পুরসভার রিপোর্ট এক সপ্তাহ অন্তর বার হয়, তাই কিছু তথ্যের গরমিল হয়ে থাকতে পারে। আপাতত ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করাই একমাত্র কর্তব্য।'' এদিন পুরসভা জানিয়েছে, সব মিলিয়ে কলকাতায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার সাতশ।
গোটা রাজ্যে মোট আটটি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদের সুতি, লালগোলা, ভগবানগোলা, নদিয়ার রানাঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদম, বনগাঁ আছে। বিধাননগরেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)