নোত্র দামের অগ্নিকাণ্ড
প্যারিসের সবচেয়ে বিখ্যাত ক্যাথিড্রাল বা গির্জা নোত্র দাম৷ সোমবারের অগ্নিকাণ্ডে এর কিছু অংশ ভস্মীভূত হয়ে গেছে৷ কাঠের তৈরি ছাদ ও স্পায়ার ধ্বংস হয়ে গেলেও ভেতরের বেশিরভাগ অংশই এখনো অক্ষত৷ মূল কাঠামোও তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি৷
যুগ যুগান্তরের গর্ব
ছবিটি ১৮৮০ সালের৷ প্যারিসের মধ্যখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে নোত্র দাম৷ ১৮৮৯ সালে আইফেল টাওয়ার নির্মাণের আগে এটিই ছিল ফ্রান্সের রাজধানীর সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্য৷ আজও এটি প্যারিসবাসীর গর্বের প্রতীক৷
চূড়া থেকে
ছবিটি নোত্র দামের ছাদ থেকে তোলা হয়েছিল৷ সোমবারের আগুনে এই অংশটি পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে৷
‘দি হাঞ্চব্যাক অব নোত্র দাম’
ভিক্টর উগোর ১৮৩১ সালের উপন্যাস ‘দ্য হাঞ্চব্যাক অব নোত্র দাম’ বিশ্বখ্যাত এই ক্যাথিড্রালটিকে আরো জনপ্রিয় করে তোলে৷ উপন্যাসটি অবলম্বনে ১৯৫৬ সালে একটি চলচ্চিত্রও তৈরি হয়৷ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র কোয়াসিমোদোকে দেখা যাচ্ছে৷
অগ্নিনির্বাপনের চেষ্টা
আগুন লাগার পর নিরাপত্তা বাহিনী নোত্র দাম-এর চারপাশে সাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেয়৷ ৪০০ অগ্নিনির্বাপন কর্মী তাদের যন্ত্রপাতি নিয়ে আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালায়৷ আগুন লাগার সময় ক্যাথিড্রালটির সংস্কার কাজ চলছিল৷ এটিকে একটি দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখছে তদন্তকারী দল৷
ভেঙে পড়ল স্পায়ার
একটি পর্যায়ে ৯৩ মিটার উঁচু স্পায়ারটি ধ্বসে পড়ে৷ কাঠের তৈরি ছাদটিও ভস্মিভূত হয়ে যায়৷ ফরাসী বিপ্লবের পর ক্যাথিড্রালটি অনেকটা অবহেলিত ছিল৷ ১৯ শতকের সংস্কার করার পর সেটি বর্তমান চেহারা পেয়েছিল৷
অগ্নিশিখা
নিয়ন্ত্রণে আসার আগে প্রায় আট ঘণ্টা আগুনের এমন লেলিহান শিখায় জ্বলছিল নোত্র দাম৷
অক্ষত মূল কাঠামো
অগ্নিনির্বাপন কর্মীরা নোত্র দামের দুটি টাওয়ার আর ঘণ্টাঘরকে আগুনের হাত থেকে রক্ষা করতে সমর্থ হন৷ আগুন নেভানোর পর ভবনটির মূল কাঠামো অক্ষত আছে বলে জানান কর্মকর্তারা৷
হতবাক প্যারিসবাসী
প্রিয় নোত্র দামকে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়তে দেখে হতবাক হয়ে পড়েন প্যারিসবাসী৷ এসময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকেন তাঁরা৷ হতাশায় একজন এএফপিকে বলেন, ‘‘প্যারিসের চেহারা আজ বদলে গেল৷ এই শহর আর আগের মতো দেখাবে না৷’’
শিল্পকর্ম রক্ষার চেষ্টা
আগুন লাগার পর কর্মীরা শুরুতে ক্যাথিড্রালটির অমূল্য শিল্পকর্মগুলো সরিয়ে নেন৷ সৌভাগ্যের বিষয় হলো, গত সপ্তাহেই সংস্কারের অংশ হিসেবে ১৬টি তাম্র ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়া হয়েছিল৷ গত একশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গির্জা থেকে এসব শিল্পকর্ম বের করে আনা হয়৷
পুড়ছে ভেতর
এটি আগুন লাগার পর ক্যাথিড্র্যালের উপর থেকে নেয়া ছবি৷ ছাদের একটি অংশ তখন খসে পড়েছিল৷ ভেতরের একটি অংশও আগুনে পুড়ছিল৷
অভ্যন্তরে ক্ষতি কম
আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরের দিন সকালে প্যারিসের মেয়র আনে ইদালগো এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ স্থাপনাটি পরিদর্শন করেন৷ ইদালগো জানান, ‘‘এর ছাদ বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই৷’’ তবে অভ্যন্তরে যতটা ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা ছিল, তার থেকে অনেকটাই রক্ষা পেয়েছে নোত্র দাম৷